অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম কিনতে ইসরায়েলকে আরও সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার (৩৫০ কোটি ডলার) দেবে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর গতকাল শুক্রবার (০৯ আগস্ট) বলেছে, কয়েক মাস আগেই ইসরায়েলের জন্য এই অর্থ বরাদ্দের অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন কংগ্রেস।
সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, সম্প্রতি ইরানের সঙ্গে ইসরায়েলের উত্তেজনা বাড়তে থাকায় এই অর্থ ছাড় দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন একাধিক কর্মকর্তা।
জানা গেছে, গত এপ্রিলে ইসরায়েলকে অস্ত্র কিনতে অর্থ বরাদ্দ সংক্রান্ত বিল পাস করেছিল কংগ্রেস। ওই বিলে ইসরায়েলের জন্য ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দের উল্লেখ ছিল। বিদেশি সামরিক অর্থায়ন কর্মসূচির মাধ্যমে এই অর্থ থেকে ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অস্ত্র কিনতে পারবে। তবে এখনই অস্ত্র কিনতে পারছে না ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্রগুলো এখন তৈরি হচ্ছে। অস্ত্র তৈরি শেষ হওয়ার পর ইসরায়েল তা কিনতে পারে।
প্রসঙ্গত, গেল সপ্তাহে ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তেহরান গিয়েছিলেন হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া। সেখানে নিজ বাসভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হন তিনি ও তাঁর দেহরক্ষী। এখন পর্যন্ত এ হামলার দায় কেউ স্বীকার না করলেও ইরান ও হামাসের দাবি, ইসরায়েল এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তাই ইরান এ হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি আলাদাভাবে ইসরায়েলকে কঠিন শাস্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ইসরায়েলে ইরানের সম্ভাব্য হামলার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কারবি বলেন, ‘ইরানের হুমকিকে আমরা অবশ্যই গুরুত্বের সঙ্গে নিই। ইসরায়েলকে রক্ষা করতে আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। এরপরই ইসরায়েলকে অস্ত্র কিনতে আরও অর্থ ছাড়ের ঘোষণা দিল যুক্তরাষ্ট্র।