সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে দৈনিক আনন্দবাজারের সাংবাদিক শাকিরুল হক তরু গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার খবরে উত্তেজিত জনতা রাজধানীর বাড্ডা থানায় আক্রমণ করে। জনরোষ থেকে বাঁচতে একের পর এক গুলি ছুড়ে পুলিশ। এই সময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন এই সাংবাদিক।
জানা যায়, ৫ ই আগস্ট বেলা ১২ টা থেকেই এখানে আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হচ্ছিল, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট সহ টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ছিল। দুপুর ২ টার দিকে এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা পুলিশকে ধাওয়া দিয়ে থানার গলির ভিতরে ঢুকিয়ে দেয়। পরিস্থিতি কিছুক্ষণ শান্ত থাকলেও শেখ হাসিনার পদত্যাগের সংবাদ শোনার পর বিক্ষিপ্ত জনতা ফের পুলিশের উপর ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এক সময় পুলিশ গলি থেকে থানার সামনে চলে যেতে বাধ্য হয়। আর বিক্ষিপ্ত জনতা থানার দিকে এগিয়ে আসতে চাইলে পুলিশ অনবরত গুলি, টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়তে থাকে। এ সময় থানার আশপাশ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়, হতাহত হয় অনেকেই।
আহত সাংবাদিক জানান, বিকেল তিনটার আগে বিক্ষিপ্ত জনতা দ্বিতীয় দফায় পুলিশের উপর আক্রমণ চালালে পুলিশ এক পর্যায়ে আত্মরক্ষার্থে আন্দোলনকারীদের উপর নির্বিচারে গুলি, টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়তে থাকে। এসময় প্রায় ২২ টার মতো রাবার বুলেট আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লাগে।
তিনি আরো জানান, পরবর্তীতে দায়িত্বরত অন্যান্য গণমাধ্যম কর্মীরা আমাকে উদ্ধার করে আহত অবস্থায় রামপুরাস্থ ফরাজী হাসপাতালে নিয়ে যায়। জরুরি ভিত্তিতে তিনটা গুলি বের করা গেলেও বাকিগুলো এখনো বের করা যায়নি। ডাক্তার এক্স-রে দেখে বলেন কিছু গুলি বের করা গেলেও অনেকগুলো বের করা যাবে না। কারণ এগুলো একদম হাড়ের কাছাকাছি চলে গেছে।