দেশের সর্ববৃহৎ যমুনা সার কারখানায় গ্যাস সংকটের কারণে সাত মাস ধরে বন্ধ রয়েছে উৎপাদন। ফলে উত্তরবঙ্গসহ ২১ জেলায় ইউরিয়ার চাহিদা মেটাতে হচ্ছে আমদানি করা সার দিয়ে। এ কারণে অযত্নে পড়ে থাকায় নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান যন্ত্রাংশও।
জানা যায়, জামালপুরের সরিষাবাড়ির তারাকান্দির এই কারখানায় প্রতিদিন ইউরিয়া উৎপাদন হয় ১ হাজার ৭০০ টন। কিন্তু গ্যাস সংকট ও বিভিন্ন ত্রুটির কারণে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে গত ৭ মাস ধরে। এতে আসছে বোরো মৌসুমে সার সংকটের শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা।
এ নিয়ে স্থানীয়রা জানান, ইউরিয়া সারের যে গুণাগুণ, ফসল বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আমরা অল্পতে যে ফসল পেতাম সেটা পাচ্ছি না। বিদেশি সার বেশি দিলে ধান মরে যায়। অন্যান্য সার আমাদের দেয় এই সার ক্ষেতে দিলে আমরা কোনো উপকার পাই না, অথচ আমাদের টাকা খরচ হয়। এদিকে, কারখানা এলাকায় পড়ে আছে শত শত ট্রাক। বেকার হাজারো পরিবহন কর্মচারী। কারখানার সঙ্গে জড়িত শ্রমিকরাও পরিবার পরিজন নিয়ে কাটাচ্ছেন মানবেতর জীবন।
প্রতিদিন ১ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন সার উৎপাদন হয়ে থাকে উল্লেখ করে জালামপুরের স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম মানিক বলেন, আমাদের যদি সার কারখানা চালু না হয় তাহলে দেখা যাবে সামনে সার সংকট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
যমুনা সার কারখানার জামালপুরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোসলেহ উদ্দীন বলেন, গ্যাসের ব্যাপারটা এখনও আমরা বলতে পারছি না। তবে, আমাদেরকে বলা হয়েছে রেডি থাকতে। গ্যাস পাবো কিনা এমন কোনো গ্যারান্টি নাই। কারখানাটিতে ১ হাজার ৭০০ টন ইউরিয়া উৎপাদন করতে প্রতিদিন গ্যাসের প্রয়োজন ৪৫ মিলিয়ন ঘনফুট।