পেঁয়াজের মূল্য কারসাজিতে জরিত ১৭ জন সদস্যের একটি সিন্ডিকেট। মূলত চার গডফাদার নিয়ন্ত্রিত পরিকল্পনায় মূল্যবৃদ্ধির এই বিষয়টি ঘটেছে।
এক্ষেত্রে সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ একটি দপ্তরের একশ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারী। আর এই কারসাজির মাধ্যমে বিদেশে পাচার হয়েছে দেড় হাজার কোটি টাকা। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার এমন রিপোর্ট গত মাসে মন্ত্রণালয় ও শীর্ষ প্রশাসনের কাছে জমা হয়েছে। রিপোর্টে সকলের নাম উল্লেখ থাকলেও এখন পর্যন্ত কারোর বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
এবার পেঁয়াজের কেজি ২৫০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। এখনো পেঁয়াজের মূল্য ১০০ টাকার ওপরে।
পেঁয়াজ কেলেঙ্কারির চার গডফাদার অতীতে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি ও ব্যাংক কেলেঙ্কারির সঙ্গেও জড়িত ছিল বলে জানা গেছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কেউ ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সিন্ডিকেট কারসাজির মাধ্যমে বাজার থেকে টাকা তুলে নিয়ে তার এক টাকাও দেশে রাখেনি। কারণ হিসেবে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের কাছে কোনো কোনো ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, দেশে টাকা রাখতে গেলে টাকার উৎস দেখাতে হবে তাই তারা বিদেশে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে।
আনন্দবাজার/তাঅ