স্বায়ত্তশাসিত, সরকারি ও স্বশাসিত ৬১টি সংস্থার ব্যাংকে থাকা উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমার বিধান করে মঙ্গলবার সংসদে একটি বিল উত্থাপিত হয়েছে। সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় মেটাতেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্ধমন্ত্রী।
এ ৬১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বেশকিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের আয়ের একটি বড় অংশ আসে উদ্বৃত্ত অর্থের সুদ থেকে। এরই মধ্যে বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে সরকারি কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন স্টেকহোল্ডাররা। গতকাল বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে সাক্ষাত্কালে স্টেকহোল্ডাররা এসব কথা বলেন।
স্বায়ত্তশাসিত, সরকারি কর্তৃপক্ষ ও স্বশাসিত সংস্থার উদ্বৃত্ত অর্থ ব্যাংকে জমা দেয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে স্টেকহোল্ডাররা বলেন, এগুলোয় সাধারণ জনগণের মালিকানা রয়েছে। ফলে তাদের অনুমোদন ছাড়া এ অর্থ কীভাবে নেয়া সম্ভব? তাছাড়া এতে শেয়ারবাজারেও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এরই মধ্যে সরকারি কোম্পানিগুলোর শেয়ার বিক্রি বেড়ে গেছে। তাই এ বিষয়ে বিএসইসিকে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করার অনুরোধ জানানো হয়। বিএসইসি এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবে বলে স্টেকহোল্ডারদের আশ্বস্ত করা হয়।
আনন্দবাজার/জায়েদ