ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইরানি নির্মাতা রাসুলফকে ৮ বছরের কারাদণ্ড, চাবুক মারার রায়

ইরানি নির্মাতা রাসুলফকে ৮ বছরের কারাদণ্ড, চাবুক মারার রায়

ইরানের অন্যতম আলোচিত নির্মাতা মোহাম্মদ রাসুলফের চলচ্চিত্রে উঠে এসেছে ইরানের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি। যে কারণে একাধিকবার কারাবরণ করতে হয়েছে তাঁকে। এবারের ৭৭তম আসরের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে জায়গা পেয়েছে রাসুলফের নতুন সিনেমা ‘দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ’। এ জন্য মোহাম্মদ রাসুলফকে আট বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, এমনটাই জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী।

ইরানের ইসলামি বিপ্লব আদালত রাসুলফকে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। সেই সঙ্গে চাবুক মারা, জরিমানা এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এমনই সামাজিক মাধ্যম ‘এক্স’-এ দেওয়া এক পোস্টে নির্মাতার আইনজীবী বাবাক পাকনিয়া লিখেছেন। পাকনিয়া জানিয়েছেন, একটি আপিল আদালতে রায়ে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে এবং মামলাটি এখন প্রয়োগের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।

চলচ্চিত্র ও তথ্যচিত্র নির্মাণ ও প্রকাশ্য বিবৃতিই এ শাস্তির কারণ যা ‘দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি’ এমনই জানিয়েছেন এ আইনজীবী। সম্প্রতি ইরানি কর্তৃপক্ষ কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল থেকে নির্মাতার সর্বশেষ সিনেমা ‘দ্য সিড অব দ্য সেক্রেড ফিগ’ সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রবল চাপ সৃষ্টি করে। ভ্যারাইটি এক প্রতিবেদনে জানায়, সিনেমাটি যাতে কান উৎসবে প্রদর্শিত না হয়, সে চেষ্টা করছে ইরান সরকার। মোহাম্মদ রাসুলফকে চাপ দেওয়া হচ্ছে যাতে তিনি সিনেমাটি উৎসব থেকে সরিয়ে নেন। রাসুলফের আইনজীবী বাবাক পাকনিয়া তখন এক্সে পোস্টে জানান, গত সপ্তাহে দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ সিনেমার প্রযোজক ও অভিনয়শিল্পীদের ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কয়েক ঘণ্টা জেরা করা হয়েছে তাঁদের। দেশ ছাড়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয়েছে।

এ নির্মাতার আইনজীবী লিখেছেন, এ সিনেমার অভিনয়শিল্পীদের ইরানের বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, তাঁরা যেন পরিচালককে বলেন কান উৎসবের তালিকা থেকে এ সিনেমা সরিয়ে নিতে।

প্রসঙ্গত, দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ সিনেমায় ইরানের বিচারব্যবস্থার চিত্র তুলে ধরেছেন রাসুলফ। সিনেমার গল্প ইমান নামের এক ব্যক্তিকে ঘিরে, যিনি তেহরানের বিপ্লবী আদালতের একজন তদন্তকারী বিচারক। একসময় দেশব্যাপী রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে ওঠে। নাগরিকেরা প্রতিবাদ করতে শুরু করেন। ইমানের মনেও অবিশ্বাস ও বিভ্রান্তি তীব্র আকার ধারণ করে। ১৪ মে থেকে শুরু হতে যাওয়া কান উৎসবে সিনেমাটির প্রিমিয়ার হওয়ার কথা রয়েছে। উৎসবের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে পাম দ’রের জন্য লড়বে ছবিটি। উল্লেখ্য, গত বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবের বিচারক নির্বাচিত হওয়ার পরও ইরান সরকারের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে তিনি অংশ নিতে পারেননি।

সংবাদটি শেয়ার করুন