চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রার পারদ যেন কমছেই না। টানা ২০ দিন ধরে অব্যহত রয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহ। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমে দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৩ শতাংশ।
তীব্র তাপে এখানে গলে যাচ্ছে রাস্তার পিচ। পানির স্তর নেমে গেছে। স্তর নীচে নেমে যাওয়ায় চুয়াডাঙ্গার অধিকাংশ গ্রামে টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। এরআগে ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। অর্থাৎ, ১০ বছর পর জেলার তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রির ঘরে প্রবেশ করলো।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আপাতত দু-একদিনের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে বা একইরকম থাকবে।
অঞ্চলটিতে এরআগে ২৪ এপ্রিল দিনগত রাতে হঠাৎ করে কালবৈশাখীর প্রভাবে জেলায় বৃষ্টি হয়। তবে পরের দিনই তাপমাত্রা আবার আগের জায়গায় চলে যায়। বরং প্রতিদিনই তাপমাত্রা আগের তাপমাত্রার রেকর্ড ভাঙছে। এপ্রিলের শুরু থেকেই জেলায় ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছিল। তবে এ মাসের মাঝামাঝি থেকে ৪০-৪২ ডিগ্রি পার করেছে। এখন তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ চলমান।
এদিকে টানা ২০ দিন তীব্র তাবদাহের কারণে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া জনিত রোগী। সেই সাথে শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। তীব্র রোদের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালকরা কাজ করতে না পেরে অলস সময় পার করছেন। জনসাধারণকে সতর্ক ও সচেতন করতে জেলায় বার বার হিট এলার্ট জারি করে মাইকিং করেছে কর্তৃপক্ষ।