ইসরায়েলের আক্রমণে যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজায় বিমান থেকে ফেলা ত্রাণ প্যাকেটের আঘাতে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
গাজা সিটির পশ্চিমে আল-শাতি শরণার্থী শিবিরে গতকাল (০৮ মার্চ ) এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
গাজা সিটির আল শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সের জরুরি সেবা বিভাগের প্রধান মুহম্মদ আল-শেখ এ ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন। আহতদের আল শিফা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে আল-শেখ জানিয়েছেন।
সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, একটি ত্রাণ প্যাকেজের ওপরে থাকা প্যারাসুট না খোলায় এ ঘটনা ঘটে। ত্রাণের বান্ডিলটি অত্যন্ত দ্রুত গতিতে নিচে থাকা মানুষের ওপর এসে পড়ে। গাজা শহরের পশ্চিমাংশের ফিরোজ টাওয়ারের কাছে আবাসিক এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থলের সাংবাদিক খাদের আল জানুন সিএনএনকে জানান, এদিন তিনি বিমান থেকে আল-শাতি শিবিরে ত্রাণ প্যাকেজ ফেলতে দেখেছেন, কিন্তু কোন দেশের বিমান সেগুলো ফেলেছে তা নিশ্চিত হতে পারেননি।
তারা জানিয়েছে, ত্রাণের প্যাকেজগুলোতে অধিকাংশ প্যারাসুট ঠিকমতো লাগানো হলেও যে কাঠের ফ্রেমে বান্ডিলগুলো আটকে দিয়ে নিচে ফেলা হচ্ছে, সেগুলো মোটামুটি বিপজ্জনক গতিতেই নিচে নেমে আসছে, তাই মাটিতে পড়ার সময় লোকজন চিৎকার-চেঁচামেচি করে সেগুলোর পথ থেকে সরে যাচ্ছে।
জানা যায়, গাজায় বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, জর্ডান, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ফ্রান্সসহ কয়েকটি দেশ বিমান থেকে জরুরি খাদ্য ও ত্রাণ ফেলছে। এদিকে জর্ডানও এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।
বিমান থেকে ত্রাণ পড়ে হতাহতের ঘটনার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র জড়িত না উল্লেখ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার বলেছেন, আমরা নিশ্চিত করেছি যে আমাদের সব ত্রাণের বান্ডিল নিরাপদে মাটিতে অবতরণ করেছে।
এদিকে জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, চারদিক থেকে অবরুদ্ধ গাজার লাখ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে রয়েছে। কয়েকটি দেশ বিমান থেকে গাজায় জরুরি খাদ্য ত্রাণ ফেলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও এসব ত্রাণ প্রয়োজনের তুলনায় তেমন কিছু নয় বলে এর সমালোচনা করেছে আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলো।