ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দাগনভূঞায় এখনও দেখা মেলেনি মুকুলের, দুশ্চিন্তায় চাষিরা

চলতি মৌসুমে আম গাছে গত বছরের তুুলনায় পর্যাপ্ত মুকুল না আসায় দুশ্চিন্তায় ছাপ পড়েছে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের চোখে মুখে। কারণ প্রতিবছর এ সময় বাগানে আমের গাছে মুকুলে ভরপুর থাকে। সময়মতো মুকুল না এলে লোকসান গুণতে হবে তাদের। তবে আগাম পরিচর্যার অভাব এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে মুকুল আসতে দেরি করছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

আম ব্যবসায়ী ও আমচাষিরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এবার দেরিতে শীতের আগমন, দীর্ঘমেয়াদী শৈত্য প্রবাহ, অতিরিক্ত শীত ও ঠান্ডা হওয়ায় আমের গাছে মুকুল আসছে না। তবে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ বলছেন, সঠিক নিয়মে ও উপযুক্ত সেচ ও ¯েপ্র সহ অন্যান্য প্রযুক্তি কাজে লাগাতে পারলে সামনে কিছু দিনের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই গাছে মুকুল আসবে। তবে এবার গাছে পর্যাপ্ত মুকুল না আসার কারণে অনেক চাষি ও ব্যবসায়ী হতাশ হয়ে পড়েছেন। এ পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন আম বাগানে এক তৃতীয়াংশ গাছেই এখন পর্যন্ত মুকুল আসেনি।

সরজমিনে জেলার বিভিন্ন আম বাগান ঘুরে দেখা গেছে, ফেব্রুয়ারি মাসের দুই সপ্তাহ পরেও বাগানের আম গাছে কোনো মুকুল নেই। দু-একটি গাছে থাকলেও একেবারেই কম। আম চাষি ও আম ব্যবসায়ীরা বাগানে স্প্রে ও সেচ দেওয়া নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। কৃষি অফিস ও কীটনাশক ব্যবসায়ীদের পরামর্শে পরিচর্যা করছেন। তবে সবাই দুশ্চিন্তায় আছেন। গত বছর যেহেতু ব্যাপক মুকুল এসেছিল সেহেতু এবার মুকুল কম আসতে পারে। শীত ও ঠান্ডার কিছুটা প্রভাব পড়েছে। তবে উপজেলার প্রায় সব আম বাগানেই কমবেশি মুকুল আসতে শুরু করেছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সবগুলো আম গাছে মুকুল বের হবে।

উপজেলার চাষি আবুল হোসেন জানান, তার ২ বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের আমবাগান রয়েছে। এ বছর দীর্ঘমেয়াদী শীত ও ঠান্ডা হওয়ায় আম বাগানে এখনো মুকুল আসেনি। তাই তিনি খুব চিন্তিত। এছাড়া এ বছর বালাইনাশকের দাম বেড়ে যাওয়ায় খরচ অনেক বেশি হয়েছে। তবুও গাছে মুকুল আসার আশায় সেচ ও বালাইনাশক ¯েপ্র করা হচ্ছে।

চাষি ইসমাইল হোসেন বলেন, আম একটি গাছেও মুকুল আসেনি। মুকুল আসবে এ আশায় তিনিও বাগানে স্প্রে করছেন। তিনি আরও বলেন, বালাইনাশকের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শ্রমিকের দামও বাড়ছে। প্রায় একযুগের মধ্যে এবারই ফাল্গুন মাসের ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও আমের মুকুল পুরাপুরি দেখা দেয়নি।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মহিউদ্দিন মজুমদার বলেন, আম গাছে মুকুল আসেনি বলে হতাশ হওযার কিছু নেই। এ বছর দেরিতে শীতের আগমন ও ঠান্ডা বেশি হওয়ায় মুকুল আসতে কিছুটা দেরি হচ্ছে। তবে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্রায় গাছে মুকুল আসার সম্ভবনা রয়েছে। যেহেতু এখনো সময় আসে সেহেতু কৃষি অফিসারদের সঙ্গে পরামর্শ করে সঠিকভাবে সেচ ও বালাইনাশক স্প্রে করতে পারলে স্বাভাবিকভাবেই মুকুল আসবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন