ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও শতাধিক মানুষ।
সোমবার (১২ জানুয়ারি) স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষায় একটি বিশ্বাসযোগ্য পরিকল্পনা ছাড়া রাফাহ আক্রমণ করতে নিষেধ করারর পর পরই হামলার ঘটনাটি ঘটলো।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স একটি চ্যাট অ্যাপ ব্যবহার করে রাফাহ শহরের বাসিন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তারা বার্তা সংস্থাটিকে জানিয়েছেন, হামলা যখন শুরু হয় তখন অনেক মানুষ ঘুমিয়ে ছিলেন। ফলে শহরটিতে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে কিছু মানুষের আশঙ্কা ছিল ইসরায়েল রাফাতে স্থল হামলা শুরু করেছে। ইসরায়েলি বিমান, ট্যাংক এবং জাহাজ ব্যবহার করে এই হামলাটি চালানো হয়েছে। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দুটি মসজিদ এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে বোমা হামলা হয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সোমবার দক্ষিণ গাজায় একটি ‘সিরিজ হামলা’ পরিচালনা করার কথা জানিয়েছে। যেটি এখন ‘সমাপ্ত’ হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে আরও বিস্তারিত কিছু জানায়নি তারা। এছাড়া গাজা শহরগুলোতে পূর্ববর্তী হামলার আগে, বেসামরিক নাগরিকদের উচ্ছেদে কোনও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা না করেই তাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, সেনাবাহিনীকে তারা রাফাহ খালি করার এবং সেখানে মোতায়েন করা চারটি হামাস ব্যাটালিয়ন ধ্বংস করার পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ দিয়েছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের মতে, ফিলিস্তিনের সশস্ত্রে গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে এক হাজার ২০০ ইসরায়েলিকে হত্যা করেছে। এসময় কমপক্ষে ২৫০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় সশস্ত্র যোদ্ধারা। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ২৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।