ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তোপের মুখে এবার বইমেলা ছেড়ে ডিবি কার্যালয়ে মুশতাক-তিশা

তোপের মুখে এবার বইমেলা ছেড়ে ডিবি কার্যালয়ে মুশতাক-তিশা

অমর একুশে বইমেলায় গত শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) গিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনার সাক্ষী হওয়ার পরে আজ সোমবার আবারও বইমেলায় গিয়েছিলেন সামাজিক মাধ্যমে আলোচিত দম্পতি খন্দকার মুশতাক ও সিনথিয়া ইসলাম তিশা। তবে সোমবারও একই ঘটনার সাক্ষী হতে হয়েছে তিশা-মুশতাককে। দর্শনার্থীদের ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান ও নানা আপত্তিকর মন্তব্য বইমেলা অঙ্গন থেকে বের হয়ে যেতে হয়েছে তাদের।

তাড়া খেয়ে বইমেলা প্রাঙ্গণ ছাড়ার পর নিরাপত্তা চেয়ে শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন আলোচিত খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও সিনথিয়া ইসলাম তিশা দম্পতি। এবার নিজের ও স্ত্রীর নিরাপত্তা চাইতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ কার্যালয়ে গিয়েছেন মুশতাক। সঙ্গে স্ত্রী তিশাকেও দেখা গেছে।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে মুশতাক-তিশা দম্পতি রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে গিয়েছেন বলে ডিবির এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও সিনথিয়া ইসলাম তিশা দম্পতি ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য আবেদন করবেন।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলায় স্ত্রীকে নিয়ে নিজের লেখা বইয়ের প্রচারণায় যান মুশতাক। একপর্যায়ে পাঠক, ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন এই দম্পতি। দুয়োধ্বনি দিয়ে তাদের বইমেলা প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করা হয়। ওইদিন বইমেলায় মিজান পাবলিশার্সে যান মুশতাক-তিশা দম্পতি। সেখানে ছিল মুশতাকের লেখা বই ‘তিশার ভালোবাসা’ ও ‘তিশা অ্যান্ড মুশতাক’। তাদের দেখে রীতিমতো ভিড় করছিলেন মেলায় আসা উৎসুক দর্শনার্থীদের অনেকে। মুশতাক-তিশা দম্পতি তখন ‘তিশার ভালোবাসা’ বইটি হাতে নিয়ে পাঠকদের কিনতে উৎসাহিত করছিলেন। এসময় একদল ক্রেতা-দর্শনার্থী তাদের তাড়া করেন। তাদের উদ্দেশে ‘ভুয়া ভুয়া’ ও ‘ছি ছি ছি ছি’ দুয়োধ্বনি দেন। ঘটনায় পরদিন শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে নিজেদের নিরাপত্তা চেয়ে শাহবাগ থানায় গিয়ে জিডি করেন আলোচিত এ দম্পতি।

মুশতাক-তিশাকে বইমেলা প্রাঙ্গণ থেকে বের করে দেওয়ার বিষয়ে মেলায় আসা পাঠক, ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা বলছেন, এ দম্পতি বাংলাদেশের সামাজিক সংস্কৃতির জন্য লজ্জাজনক উদাহরণ। তাদের কাছ থেকে তরুণ প্রজন্মের ভালো কিছু শেখার নেই। মুশতাকের লেখা পড়ে তরুণ-তরুণীরা বিপথগামী হতে পারে।

উল্লেখ্য, রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ (৬০) একই কলেজের শিক্ষার্থী সিনথিয়া ইসলাম তিশা (১৮)’কে বিয়ে করেন। তাদের এই অসম বিয়ে নিয়ে ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়। যদিও শুরু থেকে এ দম্পতি জানান, তারা পরস্পরকে ভালোবেসে বিয়ে করেছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠে।

সংবাদটি শেয়ার করুন