আমাদের এই ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্টে অনেক গল্প উপন্যাসেই উঠে এসেছে কন্যাদায়গ্রস্ত পিতার গল্প। এখানে অধিকাংশ পরিবারই কন্যা সন্তানকে স্বাগত জানাতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেনা। এমনকি এখনও এই এলাকায় কন্যা সন্তানকে জীবন্ত মাটি চাপা দেওয়ার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হতে দেখা যায়।
যদিও প্রচার প্রচারনার ব্যপকতায় পরিবর্তন আসছে দৃষ্টিভঙ্গির। তবু কন্যা সন্তানকে ঝামেলা মনে করার মনোভাব দূর হয়নি পুরপুরি।
তবে একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, অন্যান্যদের চেয়ে কন্যা সন্তানের বাবার আয়ুর তুলনামূলক বেশি। অবশ্য সন্তান জন্মদান আয়ু কমিয়ে দেয় নারীর এ বিষয়ে সকল গবেষকই একমত।
সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা যায়, পুত্র সন্তান তাদের পিতার আয়ুর ওপর কোনো প্রভাব না ফেললেও কন্যা সন্তানের সংখ্যার সঙ্গে পিতার দীর্ঘায়ুর সমানুপাতিক সম্পর্ক রয়েছে।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, যে বাবার যতো বেশি কন্যা সন্তান রয়েছে, তিনি ততো বেশিদিন বাঁচেন। সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, প্রতিটি কন্যা সন্তানের জন্য বাবা ৭৪ সপ্তাহেরও বেশি আয়ু পান।
একটি সন্তান জন্মের পরবর্তি সময় বাবার মানসিক ও শরীরিক অবস্থা কেমন থাকে সেটি পর্যবেক্ষণ করাই ছিল এ গবেষণার মূল উদ্দেশ্য।
একটি ভিন্ন সমীক্ষায় বলা হয়েছে, লিঙ্গ নির্বিশেষে সন্তান জন্মদানের ফলে বাবা-মা উভয়ের জীবৎকাল বৃদ্ধি পায়। এই গবেষণার জন্য ১৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে তথ্য সংগৃহ করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, নিঃসন্তান দম্পতিরা তুলনামূলকভাবে কম দিন বাঁচেন।
আনন্দবাজার/তাঅ