পটুয়াখালীতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেনের ছোট ভাই এসএম কামালের নেতৃত্বে জাপার প্রার্থী এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার ও তার কর্মী সমর্থকদের উপর অতর্কিত হামলার অভিযোগ উঠেছে।
৭ জানুয়ারি রোববার বিকাল সাড়ে চারটার সময় সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের কচাবুনিয়া ভোট কেন্দ্রে এ ঘটনাটি ঘটে।
উক্ত ঘটনায় হামলার শিকার জাপার প্রার্থী রুহুল আমীন বলেন,নোববার ভোট গ্রহন শেষে তিনি ও তার কর্মী সমর্থক নিয়ে উল্লেখিত ভোট কেন্দ্রের বাইরে অবস্থান করলে আফজাল হোসেনের ছোট ভাই কামাল হোসেন দলবল ও লাঠিশোঠা নিয়ে নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়।
এ হামলায় রুহুল আমীন তার দেহরক্ষি সোহেল আহম্মেদ ও কর্মী সমার্থকসহ আট জন আহত হয় এসময়। হামলাকালে তার ব্যবহৃত গাড়ী ভাংচুর চালায় তারা। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি পৌছালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে এবং হামলাকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এর সাথে থাকা জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি মিরাজুল ইসলাম মিন্টু বলেন ঘটনার বরাত দিয়ে বলেন, ,রোববার বিকেল চারটার পরে প্রার্থীর সাথে আমরা কয়েকজন ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের কচাবুনিয়া ভোট সেন্টারে ভোট পরিদর্শন শেষে বের হয়ে আসার সময় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড, আফজাল হোসেনের ছোট ভাই অ্যাড, কামাল হোসেনের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক লোক লাঠি সোটা নিয়ে জাপা প্রার্থী রুহুল আমিন হাওলাদার এর উপর হামলা চালায়।
এ সময় প্রার্থী ও তার দেহরক্ষী এবং আমিসহ ৮ থেকে অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হয়। হামলাকারীরা এসময় আমাদের গাড়ীও ভাঙচুর করেন। এক পর্যায় তারা ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে চলে যান।
পটুয়াখালী জেলা রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নুর কুতুবুল আলম বলেন, জাপার প্রার্থী রুহুল আমীন আমাকে বিষয়টি মৌখিকভাবে জানালে আমি তাকে লিখিতভাবে অভিযোগ দিতে বলেছি থানায়।
পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো জসীম উদ্দিন জানান,আমি ঘটনাস্থলে এসেছি, সম্ভবত দুই পক্ষের মধ্য একটু হাতাহাতি হয়েছে, তাতে জাপার প্রার্থী এবিএম রুহুল আমীনের সঙ্গে থাকা লোকজন জখম হয়েছে। অপর পক্ষের লোকজনকে আমরা স্থানে পাইনি।
অভিযুক্ত কামাল হোসেন এব্যপারে মুঠোফোনে বলেন, আমরা কোন হামলা করিনি, বরং জাপার প্রার্থী রুহুল আমীনের নেতৃত্বে তার দলবল আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে বলে জানান তিনি।