পাহাড়ি এলাকায় দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বাউকুল চাষ। এ বছর রাঙ্গামাটির পাহাড়ে ব্যাপক ভাবে উৎপাদিত হয়েছে বাউকুল ফল। ফলে একদিকে যেমন অনাবাদি জমির ব্যবহার বেড়েছে, তেমনি এই এলাকার অসচ্ছল পরিবারগুলোও অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে।
রাঙ্গামাটির শুকরছড়ির বোধিপূর গ্রামে দেখা যায়, এখানকার বন বিহারের প্রায় দুই একর অনাবাদী জমিতে চার বছর আগে বাউকুলের বাগান গড়ে তোলে একটি বেসরকারি সংস্থা। পাহাড়ের সবকটি গাছেই এখন ফলন এসেছে। বড় আকারের এ বাউকুল’র একেকটির ওজন ৩০ থেকে ৫০ গ্রাম। খেতেও বেশ মিষ্টি। উদ্যোক্তারা জানান, এ বছর বাউকুলের ফলন যেমন বেশি হয়েছে, তেমনি পাওয়া যাচ্ছে ভালো দামও ।
উদ্যোক্তারা আরও জানান, সরকারের সহায়তা পেলে অনাবাদী পাহাড় গুলোতে আরও প্রচুর পরিমাণে বাউকুল উৎপাদন সম্ভব। যার মধ্য দিয়ে রাঙ্গামাটির পাহাড়গুলোকে ফলের পাহাড়ে পরিণত করা সম্ভব হবে। এছাড়া, সরকারি ভাবে এমন উদ্যোগ নেওয়া হলে দেশীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি রফতানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রাও আয় করা সম্ভব।
রাঙ্গামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক পবন কুমার চাকমা জানান, এবছর আবহাওয়া ভালো হওয়ায় বাউকুলের ফলন ভালো হয়েছে। রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় প্রায় ৭৮৫ হেক্টর জমিতে এই বাউকুল চাষ করা হয়েছে।
আনন্দবাজার/শাহী