ঢাকা | রবিবার
১৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৩রা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেরপুর জেলা বিএনপির সম্পাদকসহ সাত নেতা-কর্মী আটক

শেরপুরে নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ ও নাশকতার অভিযোগে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সাত নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। সদর উপজেলার চরপক্ষিমারী ইউনিয়নের হরিণধরা বাজার থেকে মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি ) বিকেলে তাদের আটক করা হয়। পুলিশের অভিযোগ, বিএনপি কর্মীরা তাদের লক্ষ্য করে সেসময় ককটেল বিস্ফোরণ করেন। আটক নেতা-কর্মীরাা হলেন শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী, শেরপুর জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন, বলাইরচর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহŸায়ক মো. বাদল হোসেন, যুগ্ম আহŸায়ক মো. আতাউর রহমান, চরপক্ষিমারি ইউনিয়ন সদস্য সচিব মো. জীবন মিয়া ও যুগ্ম আহŸায়ক মো. মঞ্জু মিয়া।

পুলিশ জানায়, শেরপুর সদর উপজেলার চরপক্ষিমারী ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজারে চলমান নির্বাচনে জনগণকে কেন্দ্রে যেতে নিষেধ করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ ও নাশকতার পরিকল্পনা করছে বলে খবর পায় পুলিশ। সেই খবরের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক হয়। এর একপর্যায়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি বিএনপি নেতা হযরত আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময় বিএনপির উত্তেজিত নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা ও ককটেল নিক্ষেপ করেন। এতে চার পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে শটগানের পাল্টা ১৭টি গুলি ও তিনটি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

শেরপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও শহর বিএনপির সভাপতি প্রভাষক মামুনুর রশিদ পলাশ বলেন, ‘আমরা আগামী নির্বাচনে জনগণ যেন ভোট না দেয়, সেই প্রচারণার জন্য লিফলেট বিতরণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তার আগেই রাস্তায় আমাদের নেতা সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীসহ সাতজনকে আটক করে পুলিশ। ককটেল বিস্ফোরণ তো দূরের কথা আমাদের হাতে লিফলেট ছাড়া কোনোকিছুই ছিল না। আর এই দুর্দিনে আমরা ককটেল কোথায় পাব ? আমাদের মূল কাজ হচ্ছে সাধারণ মানুষকে বুঝিয়ে নির্বাচন বিমুখ করা, তবে বিনা কারণে নেতা-কর্মীদের ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন বাধা দিলে পুলিশ সাধারণ জনগণকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে।

এ বিষয়ে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. খোরশেদ আলম পিপিএম বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণের সময় নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। এমন খবর আমরা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশি অভিযান চালাই। তারা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশের ওপর ককটেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়ে। এ সময় সাতজনকে আটক করা হয়।

শেরপুর সদর থানার ওসি মো. এমদাদুল হক বলেন, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ধরতে আমরা অভিযান চালালে বিএনপি নেতা-কর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে ১৭ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ও তিন রাউন্ড টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় চারজন পুলিশ সদস্য আহত হয়। আটক করা হয় সাতজনকে। এ ঘটনায় ২০ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মোট ৭০ জনের নামে মামলা করা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন