ঢাকা ৮ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন,বিএনপি জামাতকে প্রতিহত করতে পারলে আমরা ধ্বংসাত্মক রাজনীতির হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে পারবো। এতে আমাদের দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। চাঁদাবাজ ও মাদকমুক্ত বাংলাদেশ আমরা গড়তে পারবো। আগামীর বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেয়ার জন্য তরুণদের আমাদের প্রস্তুত করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সাংবাদিক ফোরাম এর সাথে মত বিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনা যদি পঞ্চম বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন তাহলে দেশ থেকে সাম্প্রদায়িক শক্তি ও জঙ্গিবাদী শক্তি নির্মূল হবে। এদের নির্মূল করতে পারলেই বাংলাদেশের উন্নতি হবে। তাই দেশের মানুষের স্বার্থের জন্য স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির হাত থেকে দেশের রাজনীতিকে মুক্ত করতে হবে। আর এই সব কিছুই সম্ভব হবে শেখ হাসিনাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করলে।
তিনি আরও বলেন, যারা দেশ প্রেমিক নয় তাদের বিরুদ্ধে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়াতে হবে। এই রুখে দাঁড়ানোর মত সৎ সাহসী ও নেতৃত্ব দেওয়ার মতো সাহসী নেতা হলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। কারণ তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেন। অনেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস রাখেনা,কেন রাখে না সে ব্যাখ্যা তারা জানে। আমি মনে করি আমাদের একজন শেখ হাসিনা আছেন। আমাদের একজন আলোকিত মানুষ আছেন। তিনি আমাদের বাতিঘর। তিনি দেশের ১৬ কোটি মানুষকে এগিয়ে নেওয়ার মতো সাহস রাখেন।
নাছিম বলেন, আমাদের জাতির পিতার আদর্শের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে নিজ পায়ে দাঁড়াতে হবে। আমরা আত্মনির্ভরশীল ও সম্মানিত হতে চাই। আমাদের মর্যাদা আমাদেরকেই রক্ষা করতে হবে।আমাদের অস্তিত্ব ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন আমাদের পূরণ করতে হবে। দুর্নীতিবাজদের হাত থেকে আমাদের দেশকে রক্ষা করতে হবে। যারা ঋণ খেলাপি এদের বিরুদ্ধে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। ইদানিংকালে ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপির সৃষ্টি হয়ে তামাশা শুরু হয়েছে। এদের হাত থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমি আপনাদের কাছে ভোট চাইতে এসেছি।আমি দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রার্থী হিসেবে আপনাদের কাছে এসেছি।সাংবাদিকরা আমাদের সব সময় সহযোগিতা করেছে। সাংবাদিকদের অনেক বিষয়ে সমস্যা রয়েছে। সমাধানের কথাও আমরা বলি। ইতেমধ্যে অনেক সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। ওয়েজবোর্ড নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে ঘোষণা করেছেন তার একটি সফল বাস্তবায়ন প্রয়োজন। আমার অবস্থান থেকে যতটুকু করা যায় আমি চেষ্টা করব।
বাহাউদ্দিন নাছিম সকাল সাড়ে ৯ টায় ০৯ নং ওয়ার্ডের দৈনিক বাংলার মোড় থেকে গণসংযোগ শুরু করে মারলিন হোটেল ও আলীগড় হাউস, ফকিরাপুল কালভার্ট রোড এ গাউসেপাক বিপনি বিতান, দিলকুশা কৃষি ভবন টাওয়ারের সামনে, মতিঝিল ব্যাংক পাড়ার জনতা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংকে গণসংযোগ, হকার্স লীগ এর অফিসের সামনে পথসভা, ফকিরেরপুল প্রদক্ষিণ করে কোমরগলি নির্বাচনী ক্যাম্পে এলাকাবাসীর সাথে মত বিনিময় ও আরামবাগ প্রদক্ষিণ শেষে ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ এর কার্যালয়ে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদান করেন।
তিনি দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় সভায় অংশ গ্রহণ করেন।
শীর্ষ সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় বক্তৃতা করেন বিএফইউজে’র সভাপতি ওমর ফারুক, বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি জনজুরুল আহসান বুলবুল, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারন সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বিএসএস এর এমডি আবুল কালাম আজাদ, বিএফইউজে’র সাবেক মহাসচির আব্দুল জলিল ভুইয়া, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস আফ্রেদী, ডিইউজে’র সাবেক সাধারন সম্পাদক আজিজুল ইসলাম ভুইয়া, ডিইউজে’র সভাপতি সোহেল হায়দায় চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা তরুন তপন চক্রবর্তী, ডিআরইউ এর সভাপতি সৈয়দ শুক্কুর আলী শুভ ও ঢাকা বহুমুখী সাংবাদিক সমবায় সমিতির সাধারন সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবু। এ সময় ডিইউজে’র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক খায়রুল আলম, জাস্টিস ফর জার্নালিস্টের কো-চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক খান, ডিইউজে’র সাংগঠনিক সম্পাদক জিহাদুর রহমান জিহাদ,
এরপরে তিনি বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টি, তোপখানা রোড কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৪ দলের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভা করেন।
এদিন বিকেলে ২১ নং ওয়ার্ডের প্রধান নির্বাচনী অফিস থেকে নবাব হাবিবুল্লাহ রোড, এস এম এম ইউ স্টাফ কোয়ার্টার থেকে আজিজ সুপার মার্কেট হয়ে বক্স কালর্ভাট রোড হয়ে মোতালেব প্লাজার পেছন দিয়ে ইষ্টার্ন কটেজ, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র এলাকা, বাংলা মটর লিংক রোড, মাই টিভি (পুরাতন) বিল্ডিং এর সামনে দিয়ে হাতিরপুল, কাটাবন মার্কেট এলাকায় গণসংযোগ করেন। তিনি রাতে ১১ নং ওয়ার্ড গ্লোব নিবাস, ৩৭০/৩৭১ আউটার সার্কুলার, রাজারবাগে মত বিনিময় সভা করেন। জনসংযোগ কর্মসুচী সমুহে তার সাথে ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা ডাঃ দিলীপ রায়, কামাল চৌধুরী, ওয়ার্ড কাউন্সিলার, থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সভাপতি, সাধারন সম্পাদক, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল সায়েম, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা সম্পাদক ওবায়দুল হক খান, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল৷ প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সম্পাদক আনোয়ার পারভেজ টিংকুসহ শত শত নেতা কর্মী তার সাথে ছিলেন।
এ ছাড়া বিকাল ৫ টায় কাকরাইলস্থ নির্বাচনী অফিস আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় সংসদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু। স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারন সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু। বক্তৃতা করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি মুজিবুর রহমান স্বপন, শামীম শাহরিয়ার শামীম, দেবাশিষ বিশ্বাস, আব্দুল আলীম বেপারী, ডাঃ আসাদুজ্জামান রিন্টু, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা সম্পাদক ওবায়দুল হক খান, প্রচার সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক তারিক সাঈদ, নির্বাহী সদস্য হুমায়ুন কবির মনির, মনির হোসেন মোল্লক মনজু।