নোয়াখালীর ছয়টি সংসদীয় আসনে ৩৪জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রত্যাহারের শেষ দিনে জাকের পার্টির চার প্রার্থীসহ মোট দশজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে নোয়াখালী-৬ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউসসহ ৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। ওই আসনে তার স্বামী হাতিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী নৌকার প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা দেওয়ান মাহবুবুর রহমানের কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়া স্বজন্ত্র প্রার্থীরা হলেন, নোয়াখালী-১ আসনে জাহাঙ্গীর আলম, নোয়াখালী-২ আসনে শিহাব উদ্দিন, এসএম জাহাঙ্গীর আলম, নোয়াখালী-৩ আসনে জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবিএম জাফর উল্যাহ, চৌমুহনী পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্তার হোসেন, নোয়াখালী-৬ আয়শা ফেরদৌস। অপরদিকে, সারাদেশের ন্যায় নোয়াখালীর চারটি আসন থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন জাকের পার্টির ৪জন প্রার্থী। তারা হলেন, নোয়াখালী-১ আসনে মো. মোশারফ হোসেন, নোয়াখালী-২ আসনে এটিএম হোসেন হায়দার, নোয়াখালী-৩ আসনে মুহাম্মদ বাহার উদ্দিন, নোয়াখালী-৪ আসনে মো. সোহরাব উদ্দিন।
নোয়াখালী জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মিছবাহ উদ্দিন জানায়, রোববার সকালে ছয়টি আসনে ৪৪জন প্রার্থীর বৈধ তালিকা প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে প্রত্যাহারের শেষ দিনে ১০জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেয়।
জানা যায়, গত ৫-৯ ডিসেম্বর পাঁচটি আসনের ১৩জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন। এরমধ্যে ৮জন প্রার্থীর আপিল মঞ্জুর হয়েছে। মনোনয়ন ফিরে পাওয়া প্রার্থীদের মধ্যে নোয়াখালী-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরন ও নোয়াখালী-১ আসনে সোনাইমুড়ীর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার রুহুল আমিন অন্যতম। তবে নোয়াখালী-৪ আসন থেকে বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের মনোনয়নপত্র আপিলে না-মঞ্জুর হয়েছে।
নোয়াখালী-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রাথী বর্তমান সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর মনোনয়নপত্র গ্রহণের বিরুদ্ধে আপিল করে স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন। তবে তার আপিলটি মঞ্জুর করা হয়নি।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জানান, আমাদের প্রথমে বৈধ প্রার্থী ছিলেন ৩৭ জন। এরপর নির্বাচন কমিশনে আপিল মঞ্জুরে প্রার্থীতা ফিরে পান ৮জন প্রার্থী। ৪৫ জন প্রার্থীর মধ্যে নির্বাচন কমিশনের আদেশ মূলে এক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। ১০জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাতার করে নেয়ার পর বর্তমানে চূড়ান্ত বৈধ প্রার্থী ৩৪জন।