সময়ের সার্বক্ষণিক সঙ্গী স্মার্টফোন আমরা ঠিক কতটা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারছি? সঠিকভাবে কতজন ব্যবহার করি? সেই সংখ্যাটা বোধহয় খুবই কম। জানা থাকা দরকোর এর নিয়ন্ত্রণ কিন্তু আপনার হাতেই। একটা স্মার্টফোন আপনি কতদিন টিকিয়ে রাখতে পারছেন সেটি আপনার নিত্য ব্যবহারের ওপর নির্ভর করবে। সম্প্রতিই যদি ফোন কিনে থাকেন, সেক্ষেত্রে প্রথম থেকেই কিছু নিয়ম জেনে রাখা দরকার আপনার।
কিছু বিষয় মেনে চললে আপনার সদ্য কেনা ফোনটার আয়ু বাড়বে তো বটেই, এছাড়া আপনাকে সেই ফোন নিয়ে বারবার মেকানিকের কাছে বা সার্ভিস সেন্টারে দৌড়াতে হবে না। স্মার্টফোনের যে ছয়টি ভুল আমরা করে থাকি, সেগুলোই একবার জেনে নিন। শুধু জেনে নিলেই হবে না, তারপর সেগুলো এড়িয়েও চলতে হবে।
১. অননুমোদিত তার এবং চার্জার ব্যবহার: অনেক সময় চার্জারের দাম বেশি হওয়ার ফলে আমরা অথোরাইজড বা অনুমোদিত চার্জার এড়িয়ে চলি। বাজার থেকে একটা সস্তার চার্জার কিনে বসি, যা আখেরে ফোনের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এই ধরনের আনঅথোরাইজড চার্জারগুলো সবসময়ই এড়িয়ে চলা উচিত।
২. ব্যাটারি অতিরিক্ত চার্জ: ফোন খুব দ্রুত খারাপ হয়ে যায় ওভারচার্জিংয়ের কারণে। ফোন বেশি দিন টিকিয়ে রাখতে, বিশেষ করে তার ব্যাটারি বাঁচিয়ে রাখতে ডিভাইসটিকে যথাযথ চার্জ দিতে হবে। কোনো স্মার্টফোন ১০০% চার্জ দেওয়া উচিত নয়। আবার ১৫% এর নিচে ব্যাটারি নামতে শুরু করলেই তা চার্জে বসানো উচিত।
৩. অবিশ্বস্ত অ্যাপ সোর্স: আপনি যদি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ব্যবহার করেন, তাহলে বাইরের অন্যান্য সোর্স থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করার আগে আপনাকে সতর্ক হতে হবে। সবসময় গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপল অ্যাপ স্টোরের মতো বিশ্বস্ত সূত্র থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করা উচিত।
৪. চিন্তাভাবনা না করে অ্যাপগুলো অনুমতি দেওয়া: অ্যাপগুলো বিভিন্ন তথ্যের অনুমতি দেওয়ার আগেও আপনার একটু ভাবা উচিত। কোন অ্যাপকে আপনার সম্পর্কে কতটা জানতে পারবে, সেটা একমাত্র আপনিই ঠিক করতে পারেন। তাই, অ্যাপগুলোকে আপনার সম্পর্কিত তথ্যগুলো জানতে দেওয়ার আগে একটু সতর্ক হোন।
৫. সফটওয়্যার আপডেট অগ্রাহ্য: মাস ছয়েক আগেই হয়তো আপনার ফোনে সফটওয়্যার আপডেট এসে পৌঁছেছিল। কিন্তু আমরা গুরুত্ব দিইনি। সফটওয়্যার যথাসময়ে আপডেট না করলে সাইবার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই, অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে যথাসময়ে ফোনের সেটিংসে গিয়ে সফটওয়্যার আপডেট করে নেওয়া উচিত।
৬. অনিয়মিত ডেটা ব্যাকআপ: ডেটা হারিয়ে গেলে আমাদের বিরাট মুশকিলে পড়তে হয়। কিন্তু ডেটা সুরক্ষিত রাখতে কী এমন পদক্ষেপই বা নিই আমরা? যথাসময়ে এবং নিয়মিত কি আমরা আদৌ ডেটা ব্যাকআপ করি? করি না বলেই যে কোনো মুহূর্তে আমরা বিপদে পড়তে পারি। ফোন যদি হারিয়ে বা চুরি হয়ে যায় বা কোনো কারণে খারাপই হয়ে যায়, তাহলে সেই ডেটার কী অবস্থা হবে, বুঝতে পারছেন নিশ্চয়ই। তাই, নির্দিষ্ট সময়ে ফোনের ডেটা ব্যাকআপ করুন।