ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতে টানেলে আটকা ৪১ শ্রমিক উদ্ধারে ব্য়র্থ মার্কিন যন্ত্র, নামছে সেনাবাহিনী

ভারতে টানেলে আটকা ৪১ শ্রমিক উদ্ধারে ব্য়র্থ মার্কিন যন্ত্র, নামছে সেনাবাহিনী

ভারতের উত্তরাখণ্ডে টানেল ধসে আটকা পড়া ৪১ শ্রমিকের অপেক্ষার প্রহর যেন বেড়েই চলেছে। শ্রমিকদের উদ্ধারে ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। শ্রমিকদের উদ্ধারে কাজ করা মার্কিন অগার মেশিন নষ্ট হয়ে গেছে ফলে মাটি খনন করে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য যোগ দিচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।

এদিকে শ্রমিক উদ্ধারে টানেল খনন করার সময় আমেরিকা থেকে আনা অগার মেশিনটির ব্লেড ধ্বংসস্তূপে আটকে গিয়ে গত শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) অকেজো হয়ে পড়ে। প্রায় ৬০ মিটারের মধ্যে অন্তত ১০ থেকে ১৫ মিটার এখন হাতে ব্যবহৃত যন্ত্র দিয়েই খনন করতে হবে বলে জানান এক কর্মকর্তা। ফলে হাতে খননের জন্য কোনো শ্রমিককে উদ্ধারের জন্য তৈরি টানেলে প্রবেশ করতে হবে এবং আবদ্ধ এক স্থানে খনন কাজ চালিয়ে যেতে হবে। বদ্ধ পরিবেশে একজন উদ্ধারকারী গিয়ে টানা খুব কম সময়ই কাজ করতে পারবেন। এরপর তিনি বের হলে প্রবেশ করবেন আরেকজন। এ উপায়ে সময়ও অনেক বেশি লাগবে বলে জানান হয়েছে। এভাবে পালাক্রমে টানেলে প্রবেশ করে খনন করতে হবে। ভারতীয় সেনাবাহিনী হাতে খননের কাজটি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রোববার (২৪ নভেম্বর) ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রকৌশলীর একটি ইউনিট উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়ার জন্য মাদরাস স্যাপার্স ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। উত্তরখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কার সিং ধামি গণমাধ্যমকে জানান, গতকাল শনিবার শ্রমিকদের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকে সুস্থ আছেন। মনোবলও তুঙ্গে। তাঁরা খাবার পাচ্ছেন। উদ্ধারকাজ যাতে নির্বিঘ্নে হতে পারে, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, অগার মেশিন অকার্যকর হয়ে পড়ায় হায়দরাবাদ থেকে একটি প্লাজমা কাটার নিয়ে আসা হচ্ছে। সেই মেশিন আটকে থাকা অগার মেশিনকে বের করে আনতে পারবে। অগারকে বের করা না গেলে টানেল খননের বাকি কাজ শেষ করা যাবে না।

দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এনডিএমএ) সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) সৈয়দ আতা হাসনাইন বলেন, এ অভিযানে দীর্ঘসময় লাগতে পারে। আপনি যখন কোনো পাহাড়ে কাজ করছেন তখন কোনো কিছুই নিশ্চিত নয়। আমরা কখনো কোনো সময়সীমা দেই না। এছাড়া আন্তর্জাতিক টানেল বিশেষজ্ঞ আর্নল্ড ডিক্স বলেন, আমি সব সময়ই বলে এসেছি যে, ক্রিসমাসের আগেই সবাই বাড়ি ফিরবে। যা আরও এক মাসের ব্যাপার।

উল্লেখ্য, এরই মধ্যে পাহাড়ে উলম্বভাবে খননকাজ শুরু হয়ে গেছে এবং ২৫ টনের অগার মেশিনটি ধ্বংসস্তূপ থেকে টেনে বের করার পর আজই হাতে খনন কাজ শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।‌

সংবাদটি শেয়ার করুন