চীনের একটি প্রদেশ জানিয়েছে দারিদ্র্য বিমোচেনে বিস্ময়কর অগ্রগতির কথা। দেশটির জিয়াংসু প্রদেশ কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের জনসংখ্যা ৮ কোটির কিছু বেশি হলেও এর মধ্যে দারিদ্র্যসীমায় বাস করছেন মাত্র ১৭ জন। এর মানে এই ১৭ জন মানুষের ন্যূনতম বার্ষিক আয় ৬০০০ ইয়েন বা ৮৬৩ ডলারের নিচে।
অবশ্য চীন সরকার ২০২০ সালের মধ্যে দেশকে দরিদ্রমুক্ত করার ঘোষনা দিয়েছেন আগেই। দারিদ্র্যদূরীকরণ শি জিন পিং সরকারের অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার। এ লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি উচ্চাভিলাসী প্রকল্প শুরু করেছে সরকার। শি জিন পিং নিজেও পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেছেন অনেক প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকা এবং এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করেছেন এলাকার উন্নয়নের বিষয় নিয়ে।
চীনের ধনী প্রদেশগুলোর মধ্যে জিয়াংসু অন্যতম। ২০২০ সালে এ প্রদেশকে সম্পূর্ণ দারিদ্র্যমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষ। দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা ১৭ জনের পুর্নাঙ্গ তথ্য প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ। তাদের ব্যাপারে তারা জানায়, এদের চার জন অসুস্থ হলেও তারা সবাই কর্মক্ষম।
তবে জিয়াংসুর এ প্রচারণা পড়ছে প্রশ্নের মুখে। তারা কীভাবে এতোটা নিখুঁত তথ্য-উপাত্ত দিতে পারছে? এমনটাই মন্তব্য করেছে একজন চীনা সোস্যাল মিডিয়া ওয়েইবুতে।
চীনের দারিদ্র্য বিমোচনের উপর প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। কারণ সাম্প্রতিক বছর গুলোতে চীনের অর্থনীতি রকেট গতিতে এগিয়ে গেলেও দারিদ্র্যতা একেবারে শূন্যে পৌছায়নি। এছাড়া সম্পদ বৃদ্ধির সাথে সাথে বৈষম্যও বাড়ছে দেমটিতে।গণমাধ্যমে নিয়মিতই আসছে চরম দারিদ্র্যের মধ্যেই বসবাসরত মানুষের গল্প।
আনন্দবাজার/এস.কে