ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইহুদিবাদী ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েলের অব্যাহতভাবে বোমা হামলায় শুধু গাজায় এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ১০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
সাধারণ মানুষের পাশাপাশি যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে সংবাদ সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা সাংবাদিকদের উপরও। এছাড়া যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে বাদ যাননি স্বাস্থ্যকর্মীরাও।
সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে) জানিয়েছে, হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত ২২ সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ১৮ জন ফিলিস্তিনি, ৩ জন ইসরায়েলি এবং এবং একজন লেবাননের। এছাড়া পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় আহত হয়েছেন আরও ৮ সাংবাদিক। নিখোঁজ বা আটক হয়েছেন তিনজন।
শনিবার (২১ অক্টোবর) নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সিপিজে জানিয়েছে, গাজায় যেসব সাংবাদিক কাজ করছেন তারা সবচেয়ে দুঃসময় কাটাচ্ছেন। কারণ তাদের ইসরায়েলের বিমান হামলা, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগবিচ্ছিন্ন অবস্থায় সংবাদ সংগ্রহ করতে হচ্ছে। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর ২২ সাংবাদিকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হলেও; এ সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। কারণ সিপিজে জানিয়েছে, তারা আরও কয়েকজন সাংবাদিককে হত্যা, নিখোঁজ ও আটক করার অভিযোগ তদন্ত করছে।
এছাড়াও, যুদ্ধের মধ্যে সাধারণ মানুষকে সহায়তা করতে গিয়ে গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন ৬৪ স্বাস্থ্যকর্মী। তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের বিমান হামলা শুরুর পর গাজায় ৪ হাজার ৩৮৫ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা ৬৪।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এরপরই গাজাকে লক্ষ্য করে বোমা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। যা বিরতিহীনভাবে দুই সপ্তাহ ধরে চলছে। সূত্র: সিপিজে, সিএনএন