আমদানি বাড়ায় শীতকালীন সবজির দামে মিলেছে কিছুটা স্বস্তি । তবে অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজ, চাল, মাংস, ডিম, আটা ও মাছের দাম।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচা ও তেজগাঁওয়ের বেগুনবাড়ি কাঁচাবাজারে সরজমিনে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ৬৫-৭০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া লাউয়ের দাম কমে ৪৫-৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। লাউয়ের সাথে কিছুটা কমেছে শিম ও টমেটোর দাম।
সেগুন বাগিচার একজন ব্যবসায়ী জানান, টমোটো, লাউয়ের দাম কমেছে আর বেড়েছে পেঁপের দাম। আর বাকি সবজিগুলো আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। ভালো মানের ফুলকপি ও বাধাকপির পিস ৩০ টাকায় বিক্রি করছি।
তাছাড়া গাজর কেজিতে ৩০ টাকা, শালগম ৩০ টাকা ও মিষ্টি কুমড়া (ছোট) ৫০ টাকা, শিম ৪৫-৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মুলা ২০ টাকা, লম্বা বেগুন ৪০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। নতুন আলু ২৫-২৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। শসা ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ ৫০-৫৫, ঢেঁড়স ৬০-৭০ টাকা, করলা ৬০ টাকা এবং বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজিতে। বিভিন্ন ধরনের মৌসুমি শাক বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা আঁটি দরে।
আর বর্তমান বাজারের সবচয়ে দামি এবং আলোচিত পন্য পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকা দরে। তবে একটু নিম্নমানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকায়, পাকিস্তানি পেঁয়াজ ১৪০ টাকায় এবং মিশরের পেঁয়াজ ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া চায়না আদা বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা এবং দেশি আদা ১৬০ টাকা কেজি। চায়না রসুন ১৫০ ও দেশি রসুন ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বেগুনবাড়ির কাঁচাবাজারের একজন ব্যবসায়ী বলেন, গত শুক্রবার বৃষ্টি হওয়ার কারণে বাজারে পেঁয়াজ ওঠানো যায়নি। এতে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজ বাজারে কম এসেছে। এতে ১২০ টাকার পেঁয়াজ ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। এখন একটু কমেছে। তাও কেজি ১৭০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারটিতে ব্রয়লার মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯৫ টাকা ডজন। আর হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকা ডজন। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫৫০ টাকা ও খাসির মাংস ৮৫০ টাকা এবং বকরির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা কেজি দরে।
মোটা আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা দরে। প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৫০ টাকা, নাজিরশাইল ৫২ টাকা, বালাম ৪৮টাকা এবং পাইজাম চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৬ টাকা কেজিতে। মসুর ডাল ৬০ টাকা থেকে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
আনন্দবাজার/এফআইবি