ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গৃহিনী থেকে সফল উদ্যোক্তা খাদিজা বেগম

দুই সন্তানের জননী খাদিজা বেগম ছিলেন একজন সাধারণ গৃহিনী। স্বামী মো. সুমন মৃধার সহযোগীতায় গড়ে তুলেছেন বেকারি। বরগুনা জেলা সদরের গিলাতলীর খাদিজা বেগম বর্তমানে একজন সফল উদ্যোক্তা।

খাদিজা বেগমের বড় অনুপ্রেরণা ছিলেন এক সময়ে বেকারিতে কাজ করা স্বামী সুমন। দুজনের অক্লান্ত পরিশ্রমেই তিনি গড়ে তুলেছেন ‘মুন বেকারি’। অন্যান্য বেকারির চেয়ে পণ্যের মান ভালো হওয়ায় বর্তমানে এলাকায় বেশ সমাদৃত তাদের বেকারি।

প্রথমে ঋণ নিয়ে ছোট পরিসরে বাড়ির মধ্যেই বেকারি শুরু করলেও ধীরে ধীরে এর প্রসার বাড়তে থাকে। বর্তমানে রাস্তার পাশে জমি ক্রয় করে ৭ শতাংশ জমির উপর ‘মেসার্স মুন বেকারি’ নামে বড় পরিসরে বেকারির কারখানা তৈরি করেছেন খাদিজা বেগম।

খাদিজার বেকারির বিস্কুট, কেক, রুটি এখন সাপ্লাই দেয়া হয় পুরো বরগুনাতেই। বরগুনার বেতাগী, আয়লাসহ বিভিন্ন স্থানে যায় তার বেকারির পণ্য। তাদের বেকারিতে ১১ জন কর্মচারী কাজ করে। বেকারির মালামাল পরিবহনের জন্য রয়েছে নিজস্ব ৪টি টম টম ভ্যানও। এছাড়া খাদিজার কারখানায় প্রতিদিন প্রায় ৩৫ আইটেমের পণ্য তৈরি হয়।

খাদিজা বেগম বলেন, যখন ব্যবসা শুরু করি তখন সাহস, সততা আর পরিশ্রম করার মানসিকতা ছাড়া আর কোনো মূলধনই ছিল না আমার। এখন ভালো লাগছে নিজের প্রতিষ্ঠানে কাজ করছি। নিজেই তত্ত্বাবধান করছি। একই সঙ্গে অন্যের বেকারিতে স্বামী এক সময়ে কাজ করতো। এখন নিজের মতো করে ব্যবসা পরিচালনা করছে এরচেয়ে ভালো লাগার কি থাকতে পারে। বর্তমানে আমি এবং আমার পরিবার অনেক ভালো আছি। এর পেছনে মূল চালিকাশক্তি আমাদের পরিশ্রম এবং আহ্ছানিয়া মিশনের সহযোগিতা।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সিনিয়র এরিয়া ম্যানেজার মো. নাসির উদ্দিন বলেন, খাদিজা তাদের সংস্থার সদস্য পদ পান ২০০৯ সালের এপ্রিলে। তিনি প্রতিষ্ঠানটির ভালো একজন ঋণ গ্রহীতা। সঠিক সময় মতোই সব কিস্তি প্রদান করছেন। শুরু থেকেই সে ব্যবসার বিষয়ে আত্মপ্রত্যয়ী ছিল। বিষয়টি মাথায় রেখেই তাকে ঋণ দেয়া হয়েছে। সে এখন এলাকার সফল ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

 

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন