ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কমান্ডার কাশেম সোলাইমানিকে হত্যার পর ইরান ‘কঠিন প্রতিশোধ’ নেওয়ার ঘোষণার প্রেক্ষাপটে সংকটের কথা চিন্তা করে ন্যাটো জোটভুক্ত সকল দেশের সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে।
ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলো হচ্ছে, জার্মানি, কানাডা, ক্রোয়েশিয়া, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) এক ন্যাটো কর্মকর্তা বিবৃতিতে জানান, সেনা প্রত্যাহার সাময়িক হলেও সেনাবাহিনীর সদস্যদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
তবে ইরাকে ২০১৮ সালে শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যদি ন্যাটো পরিস্থিতির অনুকূলে আসে তাহলে আবারও প্রশিক্ষণ মিশন চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন ন্যাটো কর্মকর্তা।
আজ বুধবার (৮ জানুয়ারি) ভোরে সোলাইমানি হত্যার প্রতিশোধের অংশ হিসেবে ইরাকে দুটি মার্কিন সেনা ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়। এরপর ইরান ও তার মিত্র ইরাকি মিলিশিয়াদের হাতে ইরাকে অবস্থানরত অন্যান্য বিদেশি সেনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনায় ন্যাটো জোট উদ্বিগ্ন বলে জানানো হয়েছে।
ইরাকে অবস্থানরত ১২০ জার্মান সেনার মধ্যে ৩০ জনকে ইতিমধ্যে জর্ডান ও কুয়েতে পাঠানো হচ্ছে এবং অন্যরা কুর্দিস্তান অঞ্চলে অবস্থান করেছে। ক্রোয়েশিয়া তার ১৪ সেনা সদস্যকে ইরাক থেকে ৭ জনকে কুয়েতে পাঠিয়েছে এবং বাকিদেরকে নিজ দেশে ফেরত নিয়ে এসেছে। এছাড়াও কানাডা তার সেনাদের সাময়িকভাবে প্রতিবেশী দেশ কুয়েতে সরিয়ে নিবে।
এদিকে ন্যাটো প্রশিক্ষণ মিশন ও জঙ্গি সংগঠন আইএসের বিরুদ্ধে গঠিত জোটের অংশ হিসেবে প্রায় ২০০ হাঙ্গেরীয় সেনাকে ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় শহর থেকে ইরবিলে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে ইরাক থেকে মার্কিন বিমান ঘাঁটির ক্ষতিপূরণের অর্থ না নেওয়া পর্যন্ত বাগদাদ ছাড়বে না মার্কিন বাহিনী, জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আনন্দবাজার/এম.কে