ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভরা মৌসুমেও পেঁয়াজ আমদানি!

কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে ভরা মৌসুমে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত  নিয়ে ছিল সরকার। কিন্তু মাস ঘুরতেই সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। আগামী মার্চের আগেই দুই লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হবে।

এদিকে সরকারের এমন উদ্যোগে পেঁয়াজ উৎপাদনে বড় ধরনের ধাক্কা লাগবে বলে, জানিয়েছেন কৃষক ও আড়তদাররা।

কৃষক ও আড়তদাররা জানান, জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু করে মার্চে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত ১৫ লাখ টন দেশীয় পেঁয়াজ বাজারে আসবে। যেখানে প্রতিমাসে পেঁয়াজের গড় চাহিদা রয়েছে ২ লাখ টন। আর রমজান মাসে চাহিদা আরও দুই লাখ টন। সেই হিসাবে অনুযায়ী দেশীয় পেঁয়াজ দিয়ে প্রায় আগস্ট মাস পর্যন্ত চলার কথা। আর এ জন্যই ভরা মৌসুমে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন তারা।

তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন দাবি করেন, পেঁয়াজ আমদানি হলেও কৃষকদের কোন রকম ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।

তিনি বলেছেন, মার্কেট স্টাডি করে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছি তাতে কৃষকের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কোনো ধরনের অবস্থাই নেই। আমদানি হলেও কৃষকরা ন্যায্য দাম পাবেন।

অন্যদিকে কৃষকদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে আমদানি নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। ক্যাব জানায়, ভরা মৌসুমে যদি পেঁয়াজ আমদানি নিয়ন্ত্রণ করা যায় তাহলে কৃষকরা নায্য দাম পাবেন। আর এতে করে পেঁয়াজ উৎপাদনেও সফলতা আসবে।

ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ভারত যখন গরু রপ্তানি বন্ধ করে দিল, ঠিক তখন বাংলাদেশের খামারিরা অধিক সংখ্যক গো সম্পদের উৎপাদন শুরু করলো। তেমনি ভাবে পেঁয়াজের ক্ষেত্রেও এটা সম্ভব।

সরকারি হিসাব অনুযায়ী দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২৪ লাখ টন। তবে বাস্তবে তা প্রায় ২৮ লাখ টন। উৎপাদন পরবর্তী ক্ষতি বাদে বছরে ১৮-১৯ লাখ টন দেশীয় পেঁয়াজ বাজারে আসে।

আনন্দবাজার/এম.কে

সংবাদটি শেয়ার করুন