পাহাড়ে সেচ সুবিধার ব্যবস্থা করতে নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ প্রকল্প বাস্তিবায়িত করতে ব্যয় হবে প্রায় ৪৯ কোটি টাকা। তবে ধারণা করা হচ্ছে এই প্রকল্প বাস্তিবায়িত হলে আউশ-আমন ধানসহ অন্যান্য ফসলের চাষ বাড়বে উপত্যকায়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্র থেকে জানা যায়, এই প্রকল্প বাস্তিবায়িত হলে পাহাড়ে আর বর্ষা নির্ভরতা থাকবে না। বছরে দুই থেকে তিন বার আউশ-আমন ধান চাষ করা যাবে উপত্যকার ৫ শতাংশ জমিতে।
পাহাড়ের বেশির ভাগ মানুষই কৃষিনির্ভর। উর্বর জমিও আছে অনেক। প্রচুর পরিমাণে সবজি, ধানসহ বিভিন্ন ফল ও ফসল উৎপাদন হলেও সেচ সুবিধা না থাকায় উৎপাদন করা য়ায় না শুষ্ক মৌসুমের বিভিন্ন ফসল।
মন্ত্রণালয় থেকে আরো জানা যায়, পাহাড়ের ৯ হাজার একর জমি সেচ সুবিধার আওতায় নেওয়া হবে। সরকার মনে করে, এই প্রকল্প বাস্তিবায়িত হলে কৃষি নির্ভর অর্থনৈতিক বিকাশের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করা সম্ভব হবে।
চলতি সময় থেকে ২০২২ সালের জুনের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি ও মাটিরাঙ্গা উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। পাহাড়ে ২৫ হাজার ৯০৬ দশমিক ৭৪ মিটার সেচ ড্রেন নির্মাণ করা হবে। শেডসহ ১০টি সেচ পাম্প স্থাপন করা হবে এবং কৃষকদের ১০টি পাওয়ার টিলার বিতরণ করা হবে। এই প্রকল্পের খরচ হবে মোট ৪৮ কোটি ৮১ লাখ টাকা যা সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে হবে।
আনন্দবাজার/এস.কে