মাদারীপুরের রাজাবাবু গঠঠণে রাজা ভাবও রাজা রাজা। মাদারীপুর সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের খাটোপাড়া গ্রামে ৪০ মন ওজনের রাজাবাবুর সাথে সেলফি তুলতে ব্য্যস্ত রাজাবাবুকে দেখতে আসা উৎসুক জনতা।
যেমন তেজ, তেমনি গর্জন। সখ করে নাম রাখা হয়েছে ‘রাজা বাবু’। কোরবানির কোরবানীর হাটে বিক্রয়ের জন্য প্রস্Íুত করা হয়েছে রাজাবাবুুুকে । রাজা বাবুর দাম হাকা হচ্ছে ২৫ থেকে ২৮ লাখ টাকা। তবে দাম নিয়ে কড়াকড়ির চেয়ে যারা আদর ও যত্ম সহকারে গরুটি কিনবে তাদের জন্য বিশেষ ছাড় দেয়া হবে জানান মালিক মফেল ভূইয়া।
সম্পূর্ন দেশীয় পদ্ধতিতে সবুজ ঘাস, খইল, ভূসি খাইয়েই গরুটিকে লালন পালন করেছে। নিজের সন্তানের মতো ভালোবাসেন খামারী। গরুটিকে দেখতে ভীড় করছে আশে পাশের মানুষ। অনেকেই তুলছেন সেলফি। দিচ্ছেন বাহারী ক্যাপসনে পোস্ট।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গোয়াল ঘর থেকে বের করা হচ্ছে রাজা বাবুকে। যেমন তেজ, তেমন গর্জন। তাকে সামাল দিতে ব্যস্ত রাজা বাবুর মালিক মফেল ভূইয়া ও তার দুই সন্তান। ক্যামেরার আলো পড়তেই তেজ বেড়ে যায় কয়েকগুন। কোন রকমে শান্ত করা হয়। মনে হয়, রাজার বেসে আসছে ‘রাজা বাবু’। মুখের গড়ন আর শরীরের ভাড়ে দুলছে রাজা বাবু। চোখ জুড়িয়ে যায় দেখলেই।
আরো জানা যায়, গরুটি পালন করছেন মাদারীপুর সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের খাটোপাড়া গ্রামের খামারী মফেল ভূইয়া। প্রায় সাড়ে ৪ বছর ধরে নিজের সন্তানের মতো আদর যতœ করে পালছেন রাজা বাবুকে। সম্পূর্ণ দেশী ঘাস আর বিভিন্ন ধরণের ভূসি খাইয়ে বড় করছেন তিনি। গতবার কোরবানির ঈদে গরুটির দাম উঠেছিল ১০ লাখ কিন্তু ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় আর বেঁচেন নাই গরুটিকে। এবার আরো যতœ করে বড় করেছেন রাজা বাবুকে। গায়ে-গরতে প্রায় ৪০ মন মাংস হওয়ার দাবী খামারীর। তাই দামও হাকছেন ২৫ থেকে ২৮ লাখ টাকায়। তবে কেউ আদর করে নিলে তাদের জন্যে রয়েছে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থাও।
এব্যাপারে মফেল ভূঁইয়া বলেন, ‘সম্পূর্ন দেশীয় পদ্ধতিতে ঘাস, ভূসি, খইল খাইয়ে লালন পালন করা হয়েছে রাজা বাবুকে। সাবান শ্যাম্পু দিয়ে প্রতিদিন গোসল করানো হয় গরুটিকে। পরম যত্মে গরুটিকে পালন করতে পরিবারের সদস্যরাও কষ্ট করছেন। বিশালাকৃতির গরুটি প্রায় সাড়ে ৯ ফুট লম্বা ও ৬ ফুট উচ্চতা সম্পন্ন। তাই ন্যায্যমূল্য পেলে বিক্রি করা হয়। যদি কেউ কিনতে চায়, তাহলে আমার ঠিকানায় আসলেই হবে। আমার সন্তানের মতো লালন করেছি রাজা বাবুকে।’
তার ছেলে বলেন, ‘বিশালাকৃতির রাজা বাবুকে দেখতে প্রতিদিনই শতশত মানুষ ভীর করে বাড়ীতে। অনেকেই সেলফি তুলেন। আমাদের বাড়ী এখন রাজা বাবুর জন্যে পরিচিত হয়ে উঠছে। আমার বাবা অনেক আদর করে তাকে লালন পালন করেছে। যদি কেউ আদর সহকারী গরুটিকে কিনতে চায়, তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। আমরাও গরুটিকে লালন পালন করতে সহযোগিতা করে যাচ্ছি।’
মফেল ভূইয়ার গরু ছাড়াও মাদারীপুর জেলায় ছোট বড় প্রায় দুই শতাধিক খামারী রয়েছে। এবারের কোরবানির ঈদে এসব গরু বিক্রি হবে। তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের দাবী খামারীদের।