বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রোটিন দিবস ২০২৩ উদযাপন করেছে জনস্বাস্থ্য সচেতনতামূলক উদ্যোগ ‘রাইট টু প্রোটিন’। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাইট-টু-প্রোটিন বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো প্রোটিন ক্যালকুলেটর ‘প্রোটিন-ও-মিটার’ চালুর ঘোষণা দিয়েছে।
জনসাধারণ ‘রাইট টু প্রোটিন’ ওয়েবসাইটে লগ-ইন করে ‘প্রোটিন-ও-মিটার’ টুল ব্যবহার করতে পারবেন। এই প্রোটিন ক্যালকুলেটরের মাধ্যমে দৈনন্দিন প্রোটিনের প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন; বডি প্রোফাইল, লাইফস্টাইলের ধরন এবং দৈনন্দিন বিভিন্ন সময়ে খাদ্য গ্রহণের বিস্তারিত তথ্য গণনা করা যাবে। ‘প্রোটিন-ও-মিটার’-এর মাধ্যমে মুরগি মাসালা কারি, গরুর কালা ভুনা, ইলিশ কারি, ডিমের কারি, পায়েশের মতো খাবার ও স্থানীয় রন্ধনপ্রণালিতে প্রোটিনের পরিমাণ সম্পর্কে জানা যাবে। প্রোটিন ক্যালকুলেটরটির লক্ষ্য ব্যবহারকারীর দৈনিক ডায়েটে প্রোটিনের পরিমাণ প্রদর্শন করা এবং তাদের প্রোটিন লক্ষ্য সম্পর্কে সচেতন করা ও সকল খাবারে এক-চতুর্থাংশ প্রোটিন গ্রহণের বিষয়ে অবহিত করা।
প্রোটিন আমাদের সার্বিক সুস্থতার ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট হওয়া সত্ত্বেও পর্যাপ্ত প্রোটিনের অভাবে মানবস্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মতে, প্রোটিনসমৃদ্ধ খাদ্যগ্রহণ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, উপকারিতা এবং খাদ্যাভ্যাসের দীর্ঘমেয়াদী পরিবর্তনের এখন সময়। এই লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়নে, প্রোটিন দিবস উদযাপন এবং ‘প্রোটিন-ও-মিটার’-এর মতো টুলস আত্ম-সচেতনতা বৃদ্ধি ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনে সহায়তা করবে।
এবছর প্রোটিন দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সকলের জন্য প্রোটিনের সহজ অ্যাক্সেস’, এবং লক্ষ্য হলো প্রোটিনসমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সকলকে উত্সাহিত করা। প্রোটিন দিবস উদযাপনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে প্রোটিন বিষয়ক পুষ্টি-শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা সম্ভব হবে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গণসচেতনতা বৃদ্ধিসহ সমমনা ব্যক্তি, সংস্থা, ব্র্যান্ড, বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণ এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে সাহায্য করবে।