চাকুরি পাওয়ার আশায় সময় নষ্ট না করে আত্ননির্ভরশীল ও বাণিজ্যিকভাবে নানাবিধ কৃষি উৎপাদনে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন দাগনভূইয়ার যুবক শিমুল।
জানা যায়, ফেনীর দাগনভূইয়া উপজেলা উত্তর শ্রীধরপুর গ্রামের প্রমোদ চন্দ্র দাস ছোটকাল থেকে কৃষি চাষাবাদ করে আসছেন। ২০১৯ সালে ফেনী কলেজ থেকে হিসাব বিজ্ঞান বিভাগে অনার্স, মাস্টার্স শেষ করে চাকুরির পিছনে সময় নষ্ট না করেই সম্পৃক্ত হন পুরোপুরিভাবে পিতার কৃষি চাষাবাদে। প্রথমে তারা স্বল্প পরিসরে চাষাবাদ শুরু করলেও পরবর্তীতে শিক্ষিত সন্তান ও পিতার সহযোগীতায় বিস্তৃত পরিসর জায়গায় করেন চাষাবাদ। দাগনভূইয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগীতায় উন্নত জাতের বাহুবলী টমেটো ত্রিশ শতাংশ ভূমির উপর সমন্বিত চাষাবাদ ও বিভিন্ন ফলন দেখে উৎসাহ পাচ্ছেন অন্যান্য কৃষকগন।
এছাড়াও তিনি বেগুন, ডাটাশাক, ধনিয়াপাতা, ঢেঁড়স, মরিচ, বাঁধাকপি, বরবটি, শষাসহ নানাবিধ সবজি চাষাবাদ করছেন প্রায় সত্তর শতক জায়গার উপর। শীতকালীন মৌসুমে প্রায় তিন লাখ টাকা আয় করবেন বলে জানান শিমুল। বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন ও দেশে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে সবার নিজের খাদ্য চাহিদা ও বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ করে লাভবান সম্ভব বলে জানান তিনি।
স্থানীয় বাসিন্ধারা জানান, শিক্ষিত যুবক কৃষিতে আসলে কৃষি আরো ব্যাপক সম্প্রসারিত হবে। শিমুলই একটি অন্যতম উদাহরন। আমরা শিমুলের সফলতা কামনা করি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহি উদ্দিন মজুমদার জানান, শিমুল ছাত্র জীবনে থেকেই পিতাকে কৃষি কাজে সহযোগীতা করতো কিন্তু তাকে আমরা ব্যাপক উৎসাহ প্রদান করি ও কৃষি অফিস থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার মাধ্যমে তিনি আন্তরিকার সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করে ব্যাপকভাবে কৃষি চাষাবাদে বেশ সাফল্য অর্জন করছেন।
আনন্দবাজার/কআ