কুড়িগ্রামের উলিপুরে উপজেলার পৌরসভাধীন বড় সবজির বাজারসহ অন্যান্য গ্রামীণ বাজারগুলোতে কম দামে সবজি কিনতে পারায় স্বস্তিতে ক্রেতারা। সরেজমিন উপজেলার পৌরসভাধীন বড় সবজির বাজার ও গ্রামীণ বাজারগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, সবজির আমদানি অনেক বেশি হওয়ায় সস্তায় সবজি বিক্রি হচ্ছে। তাতে করে ক্রেতারা স্বস্তিতে নিঃস্বাশ ছাড়ছেন। বাজার গুলোতে বিভিন্ন ধরনের সবজি দেখা যায়। ক্রেতারাও স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ক্রয় করছেন। ক্রেতারা বলেন এখন সস্তায় সবজি কিনতে পেরে অনেক খুশি। বিক্রেতারও অনেক বেশি কেনা-বেচা করতে পেয়ে খুশি। সস্তায় সবজি হওয়ায় এখন বাজারে অনেক ক্রেতা দেখা যায় বলে জানান তারা।
বাজারগুলোতে পাইকেরিতে ও খুচরায় বিক্রি করেন রানু মিয়া জানান,কেজিতে বেগুন ১০ টাকা খুচরায় ১৫ টাকা, আলু ২২ টাকা খুচরায় ২৫ টাকা, ফুলকপি ১২ টাকা খুচরায় ১৫ টাকা, সিম ৩২ টাকা খুচরায় ৪০ টাকা, শশা ৩৬ খুচরায় ৪০ টাকা, গাজর ৩০ খুচরায় ৪০ টাকা, টমেটো ৩৫ খুচরায় ৪০ টাকা, রসুন ৬২ খুচরা মাই ৭০ টাকা, পিয়াজ ৩২ খুচরায় ৪০ টাকা, মরিচ ৩২ খুচরায় ৪০ টাকা, পাতা কিপি পিচ প্রতি ৮ টাকা খুচরায় ১০ টাকা, আদা ৯০ খুচরায় ১’শ টাকা, লেবু পিচ প্রতি ৩ টাকা খুচরায় ৪ টাকা, করলা ৫২ খুচরায় ৬০ টাকা, লাউ পিচ প্রতি ২৫ খুচরায় ৩০ টাকা, ব্রয়লার ডিম বিক্রেতা আজিজুল ইসলাম জানান, পিচ প্রতি ৮ টাকা খুচরায় ৯টাকা, চাল বিক্রেতা রতন জানান, স্বর্না কেজিতে ৪০ খুচরায় ৪২ টাকা, আটাশ কেজিতে ৫৫ খুচরায় ৫৬ টাকা, মিনিকেট কেজিতে ৬০ খুচরায় ৬২ টাকা। তিনি আরও জানান আগের চেয়ে বর্তমান চালের বাজার একটু কমেছে।
সবজি ক্রতা লিপি রানী, অর্ছনা রানী ও সুমি বেগম জানান, বর্তমান সবজির অনেক আমদানি হওয়ায় বাজার হাতের লাগালে রয়েছে। তাই সবজি ক্রয় করে স্বস্তি প্রকাশ করেন। তারা আরও বলেন সারা বছর এভাবে সবজির বাজার থাকলে আমাদের মত গরিব মানুষ দু’মুটো ভাত খেয়ে বেঁচে থাকতে পারত।
উপজেলার পৌরসভাধীন বড় সবজির বাজারের আড়দের মালিক আব্দুর রশিদ জানান, বর্তমান সবজি আমদানি হওয়ায় দাম অনেক কমেছে। সবজির বাজার দাম কম হওয়ায় বর্তমান সকল শ্রেনী পেশার মানুষ সবজি কিনতে পারছেন বলে জানান তিনি।”