ঢাকা | সোমবার
২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাগরে ভেসে থাকা ১৮০ রোহিঙ্গার মৃত্যুর আশঙ্কা

সাগরে ভেসে থাকা ১৮০ রোহিঙ্গার মৃত্যুর আশঙ্কা

সাগরে কয়েক সপ্তাহ ধরে ভেসে থাকা রোহিঙ্গাদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়া সেই নৌকাটিতে অন্তত ১৮০ জন রোহিঙ্গা ছিলেন। নৌকাডুবির ফলে তাদের সবার মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রোববার (২৫ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এই তথ্য জানিয়েছে। খবর: বার্তাসংস্থা রয়টার্স

প্রতিবেদনে বলা হয়, নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার পর রোহিঙ্গাদের দুর্বল ওই নৌকাটি টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে সমুদ্রে আটকা পড়ে ছিল। কমপক্ষে ১৮০ জন রোহিঙ্গাকে বহনকারী নৌকাটি এই মাসেই ডুবে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইউএনএইচসিআর ধারণা করছে, সমুদ্রে নিখোঁজ হওয়ার পরে রোহিঙ্গাদের বহনকারী ওই নৌকাটি সম্ভবত ডুবে গেছে। গত শনিবার টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক এই সংস্থা লিখেছে, ‘রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আত্মীয়-স্বজনরা যোগাযোগ হারিয়েছেন। যাদের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত যোগাযোগ রাখা হয়েছিল তারাও সবাই মারা গেছে বলে মনে করা হচ্ছে।’

রয়টার্স তথ্যমতে, তৃষ্ণা, ক্ষুধা ও রোগের ভয় নিয়ে উদ্বেগ এবং খাদ্য, চাকরি ও আশ্রয়ের আশায় রোহিঙ্গা শরণার্থীরা প্রায়ই এশিয়ার অন্য কোনও দেশে পৌঁছাতে বাংলাদেশ ছেড়ে বিপজ্জনক সমুদ্রযাত্রা করে। গত সপ্তাহে মিয়ানমারের দু’টি রোহিঙ্গা অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ বলেছে, ভারতের উপকূলে দুই সপ্তাহ ধরে সমুদ্রে আটকে থাকা একটি নৌকায় ক্ষুধা বা তৃষ্ণায় ২০ জন মানুষ মারা গেছে। কমপক্ষে ১০০ জন লোক নিয়ে নৌকাটি মালয়েশিয়ার জলসীমায় ছিল বলে জানা গেছে। তাছাড়া এই মাসের শুরুতে শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনী ভারত মহাসাগরের এই দ্বীপটির উত্তর উপকূলে ১০৪ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে। এরই প্রেক্ষিতে ইউএনএইচসিআর এই অঞ্চলের দেশগুলোকে মানবিক সংকট প্রশমনে সাহায্য করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।

এ অঞ্চলের পাচারকারীরা প্রায়ই মালয়েশিয়ার মতো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাগরে বিপজ্জনক যাত্রা করার জন্য রোহিঙ্গাদের প্রলুব্ধ করে।

আনন্দবাজার/কআ

সংবাদটি শেয়ার করুন