ঢাকা | বুধবার
৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৯ শতাংশ সুদহারে আয় ও মুনাফা কমবে

সকল প্রকার ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ বাস্তবায়িত হলে ব্যাংকগুলোর আয় ও মুনাফা কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। শুধুমাত্র ক্রেডিট কার্ড ছাড়া এ ঋণের সুদহার বাস্তবায়ন হলে তা টেকসই হবে না। শুধু ঋণই নয়, আমানতের সুদহার যদি বাজারভিত্তিক না হয় কখনই টেকসই হবে না। 

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সুদহারের এই নীতি চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে বাস্তবায়ন হলে সুদহার হ্রাস পাবে না বরং উল্টো দিকে তা ব্যাংকিং খাতের কাঠামোকে শক্তিহীন করবে। উৎপাদন খাতে ঋণের সুদহার ১ জানুয়ারি থেকে ৯ শতাংশ বাস্তবায়নের পূর্ব ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল তবে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে ব্যাংক মালিকদের এক জরুরি বৈঠকে তা বদলে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ব্যাংকসের (বিএবি) সঙ্গে ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ক্রেডিট কার্ড ছাড়া অন্য সকল ঋণের সুদহার ১ অংকের ঘরে সুতরাং ৯ শতাংশ হবে। এই নীতির বাস্তবায়ন হবে ২০২০ সালের ১লা এপ্রিল থেকে। ফলে নতুন বছরের শুরুতেই ব্যাংকগুলোর ব্যবসা কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন জানান, সুদের হারটা কমান্ডভিত্তিক না হয়ে বাজারভিত্তিক হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে ১৯৯১ সালে। এখন আবার কমান্ডে চলে যাচ্ছি, এটা মোটেও ভালো কথা নয়। এক কথায় ৯-৬ শতাংশ সুদে সমাধান হবে না। এটা তো সার্বজনীন না, কিছু লোকের লাভ হবে। বেশিরভাগ লোকের ক্ষতি হবে। কাজেই বাজারের দিকেই যেতে হবে।

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন