ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পর্যটনশিল্পের বিকাশে সরকারি নীতিসহায়তাসহ ব্র্যান্ডিং জরুরি

পর্যটনশিল্পের বিকাশে সরকারি নীতিসহায়তাসহ ব্র্যান্ডিং জরুরি

উচ্চ ভ্যাট ট্যাক্স প্রদানসহ দেশের অর্থনীতিতে শতভাগ মূল্য সংযোজন হলেও বাংলাদেশের প্রধান দশটি খাতের মধ্যে তালিকায় নেই পর্যটন খাত বলে হতাশা ব্যক্ত করেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। ব্যাপক সম্ভাবনাময় এ খাতের বিকাশে নীতিসহায়তা বাড়ানোর পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডিংয়ে সরকারের সহায়তা চান তারা।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট এন্ড গেস্ট হাউজ ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির দ্বিতীয় সভায় ব্যবসায়ীরা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন হয়েছে। তবে আশেপাশের দেশগুলোর তুলনায় অনেক পিছিয়ে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প। ভ্যাট ট্যাক্স কমানোসহ সরকারি নীতিসহায়তা বাড়ানোর মাধ্যমে পর্যটন খাত দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানে থাকবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআইর সহ-সভাপতি মোঃ আমিন হেলালী বলেন, বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের অনেক প্রসার হয়েছে। উন্নত দেশগুলোর মত আধুনিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার হচ্ছে এখন এদেশে। জটিলতা থেকে ধীরে ধীরে বের হচ্ছি আমরা। তবে এ খাতের প্রসারে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজের আরো বেশি উন্নয়নসহ আমদানিতে দিতে হবে। উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবার পথে পর্যটন খাতে কমপ্লায়ান্স নিশ্চিতকরণসহ সুবিধাদি বাড়ানোর ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া সেভেন সিস্টার্স অঞ্চলের পর্যটকদের সাথে বাংলাদেশের পর্যটন ব্যবসায়ীদের যোগাযোগ সহজ করা গেলে জাতীয় অর্থনীতিতে আরো বেশি অবদান রাখা যাবে।

সহ-সভাপতি এম এ মোমেন পর্যটন খাতের দেশি ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডিংয়ে আগামি বছরের মার্চ মাসে এফবিসিসিআইর ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ বিজনেস সামিটকে অন্যতম প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করা যাবে বলে পরামর্শ দেন।

এফবিসিসিআইর সহ-সভাপতি ও কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ মোঃ আমিনুল হক শামীম জানান, বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ১১০ কোটি মানুষ বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করে। বাংলাদেশী পর্যটকরা অনেক বেশি অর্থ খরচ করে বিদেশ ভ্রমণ করলেও বিদেশী পর্যটকদের এদেশে ভ্রমণ অনেক কম। পর্যটন খাতের প্রসারে সংশ্লিষ্ট পরিবহন, জাহাজ ইত্যাদি আমদানিকে ভ্যাট ট্যাক্স মুক্ত তালিকায় সংযুক্ত করার আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের ব্র্যান্ডিংয়ে দূতাবাসগুলোতে পর্যটন বই রাখা যেতে পারে বলে পরামর্শ দেন তিনি।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান ও টুরিজ্যম রিসোর্ট ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি খবির উদ্দিন আহমেদ।

বৈঠকে আরো কথা বলেন এফবিসিসিআইর পরিচালক এমজিআর নাসির মজুমদার, হাফেজ হারুন, আবু হোসেন ভুঁইয়া (রানু), আক্কাস মাহমুদ, মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, কমিটির কো-চেয়ারম্যান খন্দকার রুহুল আমিন, এইচএম আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া, ইরফান আহমেদ, জালাল উদ্দিন টিপুসহ অন্যান্যরা।

লাইসেন্স বা ছাড়পত্র সহজীকরণ, যোগাযোগ ব্যবস্থার আরো বেশি উন্নয়ন, দেশের সব পর্যটনকে লাইসেন্সের আওতায় আনা, ট্যুরিস্ট গাইডদের প্রশিক্ষনে সরকারি তহবিলের ব্যবস্থার দাবি জানান বক্তারা।

আনন্দবাজার/কআ

সংবাদটি শেয়ার করুন