ঢাকা | বুধবার
১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাকা ধানকাটার ধুম

পাকা ধানকাটার ধুম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার সর্বত্র এলাকায় দিগন্তজোড়ে মাঠে মাঠে সোনালী ধানের সমারোহ। যতদূর দৃষ্টি যায় শুধু পাকা ধান আর পাকা ধান চোখে পড়ছে। শেষ হেমন্তের মৃদ বাতাশে দোল খাচ্ছে মাঠে ভরা সোনালী পাকা ধান। সর্বত্র এখন ধান কাটার ধুম পড়েছে। এরইমধ্যে কেউ ধান কাটছেন, কেউ বা কেটে রোদে শুকিয়ে ঘরে তুলছেন, আবার কেউ কাটার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সব মিলিয়ে স্থানীয় কৃষকরা প্রাণভরে ধান কেটে মাড়াই কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সেই সাথে কৃষানীরা ও বসে নেই , তারাও মনের আনন্দে ধান শুকিয়ে গোলাই তুলার কাজে সাহায্য করছেন।

চলতি মৌসুমে এ উপজেলার কৃষকরা  রোদ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে হাল চাষ,সেচ পানি দিয়ে আমন আবাদ করেন। শেষ পযর্ন্ত ফলন ও বিক্রিতে দাম পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি আমন  মৌসূমে পৌর শহরসহ উপজেলায় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে ধানের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে।

সরেজমিনে পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায় স্থানীয় কৃষকরা ধান কাটা মাড়াইসহ তারা ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ উপজেলায় বি-আর ২৮, বি-আর ২৯, হীরা , হাইব্রীড, সবুজ সাথী, এসএলএইডএইচ, জাগরনীসহ বিভিন্ন প্রজাতির উচ্চ ফলনশীল ধান চাষ করা হয়।

কৃষক ইউসুফ মিয়া বলেন, এ মৌসুমে ৭ বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়। এ পযর্ন্ত ৪ বিঘা জমির ধানকাটা হয়েছে। দু একদিনের মধ্যে বাকী ধানকাটা হবে। তিনি আরো বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর তার জমিতে ফলন ভালো হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল ধান আবাদ করায় প্রতি বিঘায় তিনি ২০-২২ মণ ধান পেয়েছেন বলে জানায়।  

মোগড়া এলাকার হামদু মিয়া জানান, এ মৌসুমে তিনি ১০ বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান আবাদ করেন। প্রথমে কয়েক দফা বৃষ্টি হওয়ায় ধান নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তায় পড়েন। এরপর বৃষ্টি না হওয়া ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় শেষ পযর্ন্ত বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলন ভালো ও বিক্রিতে ভালো দাম পাওয়ায় তিনি খুবই খুশি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম বলেন, প্রথম দিকে টানা বৃষ্টিপাত হলে ও সময় মতো পানি চলে যাওয়ায় বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। ইতিমধ্যে আমন ধানকাটা শুরু হয়েছে। শেষ পযর্ন্ত আবহাওয়া অনুকূল থাকায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন