ঢাকা | মঙ্গলবার
২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফুলকপিতে চাষির হাসি

ফুলকপিতে চাষির হাসি

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আগাম জাতের ফুলকপি চাষ করে সফল হয়েছেন খালিলপুর গ্রামের কৃষক রায়হান আহমেদ। রায়হান আহমেদ শীতের দুইমাস আগে আশ্বিন মাসে ফুলকপি চাষ শুরু করেন। শীতেই শুরুতেই তার চাষ করা কপি বিক্রয় উপযোগী হয়ে গেছে। কৃষক রায়হান আহমেদ জানান, শ্রীমঙ্গলে তিনিই এবার প্রথম পরিক্ষামূলক হাইব্রিড সুপার তাব্বি আগাম জাতের ফুলকপি চাষ করেছেন। এই জাতের বীজ লালতীরের নিজস্ব গবেষনায় উৎপাদিত দেশের প্রথম হাইব্রিড ফুলকপির । রায়হান আহমেদ ১০ শতক জমিতে ৮৫০টি চারা রোপন করেন। ৬০ দিনে কপি বিক্রয় উপযোগী হয়ে গেছে। ১০ শতক জমিতে ফুলকপি চাষ করতে তার খরচ হয়েছে ৩০০০ টাকা। এখন তিনি প্রতি কেজি ফুলকপি ৫০ টাকা করে বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান। রায়হান আহমেদ থারণা করছেন প্রায় ৬০০ কেজি কপি বিক্রি করে খচর বাদে লাভ হবে ২৭ হাজার টাকা। আগামী বছর তিনি এক বিঘা জমিতে এই জাতের কপি চাষ করবেন বলে জানান।

জানা যায়, হাইব্রিড সুপার তাব্বি জাতের ফুলকপি আগাম থেকে মধ্য মৌসুম পর্যন্ত চাষ করা যায়। এই জাতের কপির পাতা খাড়া প্রকৃতি হয়। তাই সূর্য্যরে আলো সরাসারি কপির উপরে পড়তে পারে না। স্নো হোয়াইট রঙ্গের গম্বুজ আকৃতির এই কপি খুবই টাইট হয়। তাই পরিবহরে নষ্ট হয় না। সঠিক পরিচর্যায় চারা রোপনের ৫৫ থেকে ৬০ দিনে গছে কপি ধরে। একেকটি কপি এক থেকে দেড় কেজি পর্যন্ত ওজন হয়। প্রতি একরে ফলন হয় ২০ থেকে ২২ টন। কৃষক রায়হান আহমেদ জানান, এই জাতের কপি চাষ করে কৃষকরা লাভবান হবেন। শীতের আগেই বাজারে আসলে তুলনামুলক বেশি দামে বিক্রি করা যায়।

সংবাদটি শেয়ার করুন