অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতি তৈরী হলে বৈশ্বিক খাদ্য সংকট মোকাবেলায় শিল্প ঋণের চেয়ে কৃষি খাতে ঋণ বিতরণে গুরুত্ব বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের বৈঠকে মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) এ বিষয়টি আলোচনা হয়।
ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, আইএমএফসহ সকলেই কৃষিঋণের ওপর গুরুত্ব আরোপের পরামর্শ দিয়েছে। কারণ প্রান্তিক পর্যায়ের ঋণে ক্ষতির পরিমাণও অনেক কম। বৈঠক শেষে এ কথা জানান অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেডের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি অ্যান্ড সিইও সেলিম আর এফ হোসেন।
প্রায় ৩১ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে চলতি অর্থবছরের কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক, যা গত অর্থবছরের চেয়ে ৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেশি।
যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বের পণ্য বাজারে অস্থিরতার মধ্যে যখন সরকার খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছে, দৃশ্যত তা অনুসরণ করেই কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে।
অদূর ভবিষ্যতে খাদ্য সংকট কাটাতে ফসল উৎপাদনের বিকল্প নেই। তাই খাদ্যের ঘাটতি পূরণে কৃষকদের লক্ষ্যের চেয়ে বেশি বেশি ঋণ দেওয়া জরুরি বলছে বাংলাদেশ ব্যাংক।চলতি অর্থবছরে ফসল ও সবজি চাষে ৩০ হাজার ৯১১ কোটি টাকার কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এরমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ হাজার ৭৫৮ কোটি এবং বেসরকারি ব্যাংক ১৯ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা বিতরণ করবে।
উল্লেখ্য, ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে গত অর্থবছরে কৃষি ঋণ বিতরণ করা হয় ২৮ হাজার ৮৩৪ কোটি টাকা, যা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ২৮ হাজার ৩৯১ কোটি টাকার চেয়ে বেশি।
আনন্দবাজার/কআ