ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২৫২

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২৫২

দ্বীপরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে পৌঁছেছে ২৫২ জনে। এখনও নিখোঁজ আছেন ৩১ জন।

সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ১ টা ২০ মিনিটে ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভায় ব্যাপক প্রাণঘাতী এই ভূমিকম্পটি হয়। রিখটার স্কেলে এটির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬। এখন পর্যন্ত আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ৩৭৭ জনকে। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ৭ হাজার ৬০ জনে

পশ্চিম জাভার পর্বতবেষ্টিত শহর চিয়ানজুর ভূপৃষ্ঠের মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে উৎপত্তি হওয়া এই ভূকম্পের কম্পণ ৭৫ কিলোমিটার উত্তরপশ্চিমে অবস্থিত রাজধানী জাকার্তাতেও অনুভূত হয়েছে। ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ড স্থায়ী প্রবল কম্পনে সিয়ানজুরের আতঙ্কিত বাসিন্দারা ঘরবাড়ি ছেড়ে বাইরে বের হয়ে আসে, এ সময় বহু ভবন ধসে পড়ে।

সিয়ানজুরের এক হাসপাতালের পার্কিং এলাকা রাতেই আহতদের ভিড়ে ভরে যায়, অনেককে সেখানেই অস্থায়ীভাবে তৈরি তাঁবুতে চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসা কর্মীরা টর্চের আলোতে আহতদের ক্ষত সেলাই করেন। স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলে সেই হাসপাতালের পার্কিং এলাকার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশিত হয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে,
ভূমিকম্পে সিয়ানজুর ও জাকার্তাসহ অন্যান্য শহরে ২ হাজার ২ শ’র বেশি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সিয়ানজুর এলাকায় বেশ কয়েকটি বাড়ি ও একটি মাদ্রাসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যোগাযোগও বিঘ্নিত হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত জানতে কর্মকর্তারা অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে সিয়ানজুর শহরের ক্ষয়ক্ষতির নানা চিত্র।

রয়টার্স বলছে, ভূমিকম্পটি জাকার্তায় কয়েক সেকেন্ড ধরে অনুভূত হয়েছে। এ সময় নগরীর প্রধান বাণিজ্যিক এলাকার দপ্তরগুলো থেকে কিছু লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়।

২৭ কোটি মানুষের দেশ ইন্দোনেশিয়া তথাকথিত প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলার (প্যাসিফিক রিং অব ফায়ার) ওপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কয়েক হাজার দ্বীপ নিয়ে গঠিত। এ অঞ্চলটিতে ভূত্বকের কয়েকটি পৃথক টেকটোনিক প্লেট এসে মিলিত হওয়ায় এখানে ঘন ঘন ভূমিকম্প ও অগ্ন্যুৎপাতের মতো ঘটনা ঘটে।

আনন্দবাজার/কআ

সংবাদটি শেয়ার করুন