ঢাকা | মঙ্গলবার
২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে মৃত্যু ১৬২

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে মৃত্যু ১৬২

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১৬২ জনে দাঁড়িয়েছে। সোমবার পশ্চিম জাভা অঙ্গরাজ্যে আঘাত হানা এই কম্পনে আহত হয়েছে আরও কয়েকশ’ মানুষ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর নিশ্চিত করেছে।

রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬। এটির কেন্দ্রস্থল ছিল পশ্চিম জাভা প্রদেশের সিয়ানজুর অঞ্চলের ১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস এ তথ্য জানিয়েছে। তবে তারা বলছে সুনামির কোনও আশঙ্কা নেই।

পশ্চিম জাভার সিয়ানজুর অঞ্চলে কেন্দ্রস্থল হলেও বৃহত্তর জাকার্তা অঞ্চলেও কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউএসজিএস। আগে সিয়ানজুর অঞ্চলের এক কর্মকর্তা হারমান সুহেরম্যান ৪৪ জনের প্রাণহানির কথা জানিয়েছিলেন। তবে এই মৃতদের বেশিরভাগেরই নির্দিষ্ট একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছিল।

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভার গভর্নর কামিল স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ১৩ হাজারের বেশি মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা বিএনপিবি বলেছেন, ২২০০ বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তার তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১৬২ জনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত হওয়া গেছে। এদের বেশিরভাগ শিশু। অনেকেই সরকারি স্কুলের শিক্ষার্থী। তারা নিয়মিত ক্লাস শেষ করে মাদ্রাসায় অতিরিক্ত ক্লাস করছিল।

উল্লেখ্য, প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ার’ অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় ইন্দোনেশিয়া প্রায়ই ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত প্রত্যক্ষ করে। ২০০৪ সালে সুমাত্রা উপকূলে ৯.১ মাত্রার ভূমিকম্প ও এরপরের সুনামিতে এই অঞ্চলজুড়ে দুই লাখ ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। এরমধ্যে ইন্দোনেশিয়ায় মারা যায় এক লাখ ৭০ হাজার মানুষ। ২০১৮ সালে লম্বক দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৫৫০ জনের মৃত্যু হয়। গত বছর সুলাওসি দ্বীপে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প এবং পরবর্তী সুনামিতে চার হাজার ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়।

আনন্দবাজার/কআ

সংবাদটি শেয়ার করুন