শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুতিন ঘনিষ্ঠ ১৪ ব্যক্তি, ২৮ প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

পুতিন ঘনিষ্ঠ ১৪ ব্যক্তি, ২৮ প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ঘনিষ্ঠ ১৪ ব্যক্তি এবং ২৮ প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে দেওয়া এক বক্তব্যে মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন এ তথ্য জানান। যদিও এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করেননি তিনি।

ইয়েলেন বলেন, রাশিয়ার যুদ্ধ আরও দীর্ঘ করার পরিকল্পনা ব্যাহত করতে ও দেশটিতে অস্ত্র রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করতে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। কোন কোন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এ তালিকায় রয়েছে তা মঙ্গলবার বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনে অর্থ সহায়তা অব্যাহত রাখবে ওয়াশিংটন। এরই মধ্যে ইউক্রেনের নিরাপত্তা সহায়তা বাবদ এক হাজার ৯০০ কোটি ডলারের পাশাপাশি, অতিরিক্ত সাড়ে ৪০০ কোটি ডলারের বেসামরিক সহায়তার বিষয়টি কংগ্রেসের অনুমোদনের জন্য অনুরোধ করেছে বাইডেন প্রশাসন।

যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। নিষেধাজ্ঞার এ তালিকায় রয়েছে- রাশিয়ায় অস্ত্র সরবরাহকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, এমনকি রাশিয়ার সামরিক অস্ত্রগুলোর কলকব্জা নির্মাণকারী মার্কিন কোম্পানিগুলো। মার্কিন অর্থমন্ত্রীর মতে, বর্তমানে বিশ্ব অর্থনীতির জন্য যে জিনিসটি সবার আগে দরকার, তা হলো- যুদ্ধের অবসান ঘটানো। যুদ্ধ সমাপ্ত ঘোষণা করা রাশিয়ার নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

গত সপ্তাহে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, যদি দখলকৃত জায়গাগুলো ফিরে পাওয়া যায় ও ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি এ যুদ্ধের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত হয়, তাহলে তিনি রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসতে রাজি আছেন।

আরও পড়ুনঃ  ঘুরে না দাঁড়ালে পদ্মা সেতু হতো না-ডিএমপি কমিশনার

এদিকে, বালিতে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি সাক্ষাতকারে ইয়েলেন বলেছিলেন, শান্তি চুক্তির ক্ষেত্রে রাশিয়ার ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল করা যেতে পারে। তবে ইউক্রেন ও ‍পুরো বিশ্বের যে ক্ষতি রাশিয়া করেছে, তা বিবেচনায় কিছু নিষেধাজ্ঞা যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরও অব্যাহত থাকা উচিত। মঙ্গলবার শুরু হতে যাওয়া জি-২০ সম্মেলনের মূল আলোচ্যসূতে রয়েছে- ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে জ্বালানি, খাদ্যের দাম বৃদ্ধি ও সমাধানের উপায়।

সংবাদটি শেয়ার করুন