ঢাকা | রবিবার
২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ন্যায্য দাম না পেয়ে হতাশায় জমিতে পচাচ্ছে ধান

যশোর জেলার শার্শা উপজেলায় আমন ধান ঘরে তুলেনি অনেক চাষিরা। চরম এই হতাশায় আগামী ইরি-বোরো মৌসুমে ধান চাষে আগ্রহ হারিয়েছেন তারা। বাজারে চালের দাম বেশি থাকলেও ধান বিক্রি করে ন্যায্য দাম না পাচ্ছে অনেক কৃষক। আর এজন্য জমিতেই ধান ফেলে রেখেছেন তারা।

চলতি বছর কারেন্ট পোকার আক্রমণে ফলন যেমন কমে গেছে তেমনি ন্যায্য দাম না পাওয়ায় চরম লোকসান গুনতে হচ্ছে শার্শার কৃষকদের। গত বছরের ইরি-বোরো মৌসুমে লোকসানের পর এবার আমন আবাদেও লোকসানে পড়েছেন সেখানকার কৃষকরা। বাজারে চালের মূল্য চড়া থাকলেও ধানের ন্যায্য দাম নেই, যার জন্য চরম ক্ষুব্ধ সাধারণ কৃষকরা।

শার্শার কিছু এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কিছু কিছু কৃষক ঘরে নতুন ধান তুললেও অনেকে তা কেটে মাঠেই ফেলে রেখেছেন। বাজারে নেই ধানের দাম, এতে করে উঠছে না তাদের উৎপাদন খরচও।

শার্শার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আসলাম শেখ জানান, এ বছর আমন মৌসুমে ২ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। যেখানে বিঘা প্রতি ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা উৎপাদন খরচ হয়েছে। এ জমিতে ধান হয়েছে ২০ মণ। কিন্তু বাজারে ধান ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে। এতে উৎপাদন খরচই ঠিক মত উঠছে না।

ইসলামপুর গ্রামের চাষি শাহিন বলেন, ধান উৎপাদনে যে পরিমান খরচ হয়েছে, দাম কিন্তু সেরকম পাই নি। বাজারে চাল কিনতে গেলে অনেক দাম আর ধান বিক্রি করতে গেলে দাম একেবারেই নেই।

শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৌতম কুমার শীল বলেন, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় পর্যাপ্ত পরিমানে ধানের চাষ হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৯৮ শতাংশ জমির ধান কাটা শেষ হয়ে গেছে। কারেন্ট পোকার আক্রমণের জন্য কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে বাজারে একটু বেশি দাম পেলে কৃষকরা এ ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারতো।

আনন্দবাজার/এম.কে

সংবাদটি শেয়ার করুন