শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেয়ারবাজারে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান দুই শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সবকটি মূল্য সূচক বেড়েছে। সেই সাথে লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে।

এর মাধ্যমে ২০১৯ সালের শেষ তিন কার্যদিবস এবং ২০২০ সালের প্রথম দুই কার্যদিবস টানা ঊর্ধ্বমুখী ছিল শেয়ারবাজার। টানা পাঁচ কার্যদিবস শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা হলেও আশার সঞ্চার হয়েছে।

ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, বর্তমান বাজার কেনার জন্য বেশ উপযোগী। আশা করি সামনে বাজার আরও ভালো হবে। বাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। আমাদের ধারণা নতুন বছরে শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়তে পারে।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, বৃহস্পতিবার ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৪৫৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর মাধ্যমে টানা পাঁচ কার্যদিবসের ঊর্ধ্বমুখীতায় সূচকটি ৬৯ পয়েন্ট বাড়ল।

অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক বৃহস্পতিবার ৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৫০৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এর মাধ্যমে শেষ পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ২৪ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট বাড়ল।

টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে খুলনা পাওয়ারের শেয়ার। কোম্পানিটির ২০ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৭০ লাখ টাকার। ১০ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল।

আরও পড়ুনঃ  শেয়ারবাজারের পরিস্থিতি ও করণীয় নিয়ে শীর্ষ ব্রোকারদের সঙ্গে বিএসইসির বৈঠক

অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৫৪৪ পয়েন্টে। বাজারে লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৪৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩৮টির, কমেছে ৮৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টির।

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন