পুরুষের পাশাপাশি এগিয়ে যাচ্ছে নারীরা। ঘরে বাহিরে সব পেশায় এখন তারা নিজেদের নিয়োজিত করছে। দেশে সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন উদ্যোক্তা। অনলাইনের ফলে নারীরা আরও বেশি সফল উদ্যোক্তায় পরিণত হচ্ছে। প্রতিটি নারীর সফলতার পিছনে তারা নিজেরাই। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখছেন পরিবার।
নারীদের ইচ্ছা শক্তি এবং মনোবল তাদের নিয়ে যাচ্ছে বহুদূর। নিজের ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আজকের নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। তেমনি তাদের মধ্যে একজন সফল নারী উদ্যোক্তা ফারহানা রহমান (৩০)। স্বল্প পূঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করে বর্তমানে তিনি একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলেছেন।
বলছিলাম কৃঞ্চচূড়া হ্যান্ডিক্যাফ্ট সত্ত্বাধিকারী ফারহানা রহমানের কথা। ফারহানা রহমান পাবনার একজন সফল নারী উদ্যোক্তা। তিনি পাথফাইন্ডারসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ৬ বছরে পরিবর্তন করেছেন নিজের ভাগ্যে। এখন তিনিই নিজেই পথ দেখাচ্ছেন সমাজের অন্য নারীদের। এরই মধ্যে হয়েছেন রাজশাহী বিভাগের সেরা সৃজনশীল উদ্যোক্তা।
ফারহানা রহমানের জন্ম পাবনা শহরের রাধানগর মজুমদার পাড়ায়। শৈশব এখানে কাটলেও পড়াশোনা করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় নানা বাড়িতে থেকে। সেখান থেকে এইচএসসি পাস করে চলে আসেন পাবনায়। উদ্যোক্তা হওয়ার ইচ্ছা থেকেই প্রথমে হ্যান্ড প্রিন্ট দিয়ে শুরু করেন পোশাক তৈরির কাজ।
তার তৈরি পোশাকগুলো দাম ও মানের কারণে অনলাইনের পাশাপাশি নিজ এলাকায় তিনি সাধারণ মানুষের কাছে অল্প সময়ে ভালো অবস্থান তৈরি করে নিতে সক্ষম হয়েছেন। পাবনা রাধানগর মজুমদার পাড়া এলাকায় দোকান ভাড়া নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে শুরু করেছেন ব্যবসা।
ফারহানা রহমান সাধারণত হ্যান্ড পেইন্ট, ব্লক প্রিন্ট, বাটিক, টাইডাই ও পাঞ্জাবী তৈরি করে থাকেন। ফারহানা জানান, তার তৈরি করা পোশাকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় ব্রুটিকস। তিনি এসব পোশাক সর্বনিম্ন ১২শ টাকা থেকে শুরু করে সব্বোর্চ ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করে থাকেন। এসব পোশাক বিক্রি করে এখন তিনি মাসে আয় করছেন ৫০ হাজর টাকা। তিনি নিজে স্বাবলম্বী হয়ে সৃষ্টি করছেন অন্য নারীদের কর্মসংস্থান। বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠানে ৭ থেকে ৮ জন নারী কর্মী কাজ করছেন। এসব কর্মীদের চুক্তি ভিত্তিক পোশাক তৈরি প্রতি ৪০০ থেকে ২৪০০ টাকা পর্যন্ত দিয়ে থাকেন।
ফারহানার ইচ্ছে ভবিষ্যতে দেশের পাশাপাশি তাঁর তৈরি পোশাক দেশের বাহিরেও বিক্রি করবেন। বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখার পাশাপাশি তিন জন নারীকর্মী পোশাক তৈরির কাজ করছেন। ফারহানা রহমান বলেন, বর্তমানে নারীরা পিছিয়ে নেই। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নারীরা অনেক বড় ভূমিকা পালন করছে। ঘরে বসে না থেকে সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে বিভিন্ন কাজ করে যেতে হবে। এতে করে নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক ভাবে উন্নয়নে এগিয়ে যাবে দেশ। আমার ইচ্ছে আমি সমাজের অবহেলিত সুবিধাবঞ্চিত নারীদের সঙ্গে নিয়ে বড় কারখানা করবেন। সেখানে প্রশিক্ষণ এর পাশাপাশি উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবেন।