ঢাকা | সোমবার
২১শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শুটকি উৎপাদনে ব্যস্ত নাজিরারটেকের শুটকি মহল

রাজস্ব আদায় অনেক কিন্তু সুযোগ-সুবিধা কম

দেশের বাজারের গন্ডি পেরিয়ে শুটকির চাহিদা এখন বিশ্ব বাজারেও ছড়িয়ে পড়েছে। আর এতে করে বাড়ছে সরকারের রাজস্ব আয়। কক্সবাজারের নাজিরারটেক শুঁটকি মহলে পুরোদমে শুঁটকি উৎপাদনের কাজ চলছে। মহালে বঙ্গোপসাগর থেকে সংগ্রহ করা ছোট-বড় ২০ থেকে ২৫ প্রজাতির মাছ শুকানো হচ্ছে। আর এ কাজে নিয়োজিত রয়েছেন প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক।

শুঁটকি ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি মৌসুমে শুধুমাত্র নাজিরারটেক শুঁটকি মহলে মাছের গুঁড়াসহ ৫০ থেকে ৬০ হাজার টন বিভিন্ন জাতের শুঁটকি উৎপাদন করা হয়। যার বাজারমূল্য প্রায় দুইশ কোটি টাকা। উৎপাদিত এসব শুঁটকি দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি করা হচ্ছে বিদেশেও।

শুঁটকি মহালের ব্যবসায়ী মো. শহিদুল্লাহ জানান, শীত মৌসুম শুরুর আগে থেকে নাজিরারটেক শুঁটকি মহলেও এটির উৎপাদন শুরু হয়েছে। তবে, গত বছর ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বিরুপ আবহাওয়া থাকায় উৎপাদন বন্ধ ছিলো। এখন আবার পুরোদমে শুরু হয়েছে। এবছরও রূপচাদা, ছুরি, কোরাল, সুরমা, লইট্যা পোপা, টেকচাঁদা, হাঙ্গর, ফাইস্যা, নাইল্যামাছসহ ২০-২৫ প্রজাতির শুঁটকি এ মহলে উৎপাদন করা হচ্ছে।

তিনি জানান, দেশের বৃহত্তম শুঁটকি মহাল এটি। এখান থেকে প্রতিবছর সরকারকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব দেওয়া হলেও শুঁটকি মহালে সুযোগ-সুবিধা তেমন নেই বললেই চলে। বিশেষ করে অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে শুঁটকির উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়।

আরও পড়ুন: প্রচন্ড ঠান্ডা আর কুয়াশায় পচে যাচ্ছে শুটকি

জেলা মৎস্য কর্মকতা এসএম খালেকুজ্জামান জানান, বঙ্গোপসাগর থেকে আহরণ করা বিশেষ করে ছোট আকৃতির মাছগুলো দিয়ে শুঁটকি উৎপাদন করা হয়। শুধু কক্সবাজারে নয়, এখানে উৎপাদিত শুঁটকি ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, নাটোরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মানুষের চাহিদা মেটানো হচ্ছে। দেশের মানুষের প্রোটিনের বড় একটি অংশ কক্সবাজারে উৎপাদিত শুঁটকি থেকে পূরণ হচ্ছে। এমনকি শুঁটকির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে।

 

 

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন