বেশ কয়েক দফা শুল্ক বৃদ্ধির চেষ্টা, পূর্ব ঘোষণা এবং মাশুল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২২ শতাংশ হারে মাশুল বৃদ্ধি করেছে চট্টগ্রাম বন্দরসংশ্লিষ্ট বেসরকারি ইনল্যান্ড কনটেইনার টার্মিনালগুলো। বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপোস অ্যাসোসিয়েশন প্রতিনিধিরা জানান, পহেলা জানুয়ারি থেকে বর্ধিত হারে বিল করা শুরু হয়েছে।
কিন্তু সেবাগ্রহীতা রফতানিকারকরা আপত্তি জানিয়ে বলেন, একতরফাভাবে ২২ শতাংশ হারে মাশুল বৃদ্ধি করা হয়েছে। এদিকে প্রধান রফতানি পণ্য পোশাকের শিল্প মালিকরা বর্ধিত হারে এ চার্জ আদায় বন্ধে ব্যস্ত হয়েছেন।
নতুন মাশুল হার অনুযায়ী, ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের রফতানি কনটেইনারের প্যাকেজ চার্জ নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ৩৯০ টাকা। আগে এ চার্জ ছিল ৩ হাজার ৬০০ টাকা। এছাড়া ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের কনটেইনারের ক্ষেত্রে নতুন নতুন মাশুল ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৮৫০ টাকা, আগে যা ছিল ৪ হাজার ৮০০ টাকা।
২০ ফুট দৈর্ঘ্যের রফতানি খালি কনটেইনারের গ্রাউন্ড রেন্ট বাড়িয়ে করা হয়েছে দৈনিক ১১২ ও ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের কনটেইনারের জন্য ২২৪ টাকা। আগে এ হার ছিল ২০ ফুট কনটেইনারের ক্ষেত্রে ১০০ ও ৪০ ফুটের ক্ষেত্রে ২০০ টাকা। প্রতি টনে ল্যান্ডিং চার্জ ১৮০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২২ শতাংশ চার্জ বাড়াবে বেসরকারি আইসিডি
বিকডার সচিব রুহুল আমিন সিকদার (বিপ্লব) জানান, আজ থেকে নতুন ট্যারিফ অনুযায়ী বিল করা হচ্ছে। এতে আমদানি ও রফতানিকারকদের কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। যদিও রফতানিকারকরা দাবি করছেন, মাশুল বাড়ানো হলে বাজারে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা দুর্বল হবে।
বিজিএমইএর দাবি, প্রাইভেট আইসিডিগুলো বর্তমানে সম্পূর্ণ একতরফাভাবে রফতানি পণ্যবাহী কনটেইনারের ওপর বিভিন্ন চার্জ ১ জানুয়ারি ২০২০ থেকে ২২ শতাংশ বর্ধিত হারে আদায় করবে মর্মে বিভিন্ন শিপিং এজেন্ট ও ফ্রেইট ফরোয়ার্ডারদের চিঠি পাঠিয়েছে। আকস্মিকভাবে এ ধরনের চার্জ বৃদ্ধির ফলে দেশের সর্ববৃহৎ রফতানি খাত তৈরি পোশাক শিল্পের রফতানি কার্যক্রমে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
আনন্দবাজার/ইউএসএস