কুড়িগ্রামের উলিপুরে তিস্তায় ভেসে উঠা চরে ভুট্টার ভালো ফলনের আশা ভুট্টা চাষিদের। তিস্তার তাণ্ডবে শত শত একর আবাদি জমি ও ভিটেমাটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে তা আবার চরে পরিণত হওয়ায় এসব এলাকার লোকজন ভুট্টাচাষে ব্যাস্ত সময় পার করছেন।
সরেজমিন দেখা যায়, তিস্তায় ভেসে উঠা চরে শত শত একর জমিতে ভুট্টার চাষ করছেন। কেউবা ভুট্টার চাষ করতে ব্যাস্ত আবার কেউ ভুট্টার জমিতে নিড়ানিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ভুট্টার ফলন ভালো হওয়ায় লাভের আশা ভুট্টা চাষিদের মনে। তারা জানান, তিস্তার চরে ভুট্টার চাষ অনেক ভালো হয়। ভুট্টায় যদি কোন রোগ বালাই না ধরে বা কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় তাহলে অনেক লাভবান হবে বলে জানান তারা।
ভুট্টা চাষি ওবাইদুল ইসলাম বলেন, আমি তিস্তার চরে বর্গা হিসাবে প্রায় ১ হাজার ৫৬ শতক বা ৪৮ দোন (২২ শতকে ১ দোন) জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। দোন প্রতি (২২ শতক) খরচ হবে প্রায় ১০ থেকে ১১ হাজার টাকা। দোন প্রতি (২২ শতক) ভালো ফলন হলে ভুট্টা পাব প্রায় ৩ টন। বাজার ভালো হলে যার মূল্য হবে প্রায় ২২ থেকে ২৩ হাজার টাকা। প্রায় দ্বিগুণ লাভের সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ভুট্টা চাষে অনেক লাভবান হওয়া যায়।
এ ছাড়াও ভুট্টা চাষিদের মধ্যে মনিরুল, আজাদ বলেন, এবারে তিস্তার চরে ভুট্টার ফলন অনেক ভালো দেখা যাচ্ছে। একটু একটু পোকামাকড়ের আক্রমণ দেখা যাচ্ছে। আমরা সেগুলো প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিচ্ছি। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আমাদের পরামর্শ দিলে অনেক উপকৃত হব। তারা আরও বলেন, ভুট্টা চাষ অনেক লাভজনক হওয়ায় তিস্তাচরে ব্যাপক সাড়া পড়েছে।
এ বিষয়ে কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন, ভুট্টাচাষে অনেক লাভবান হওয়া যায়। ভুট্টা চাষে অনেক লাভ হওয়ায় তিস্তার চরে অনেক সারা পড়েছে। ভুট্টার রোগ বালাই ও পোকামাকড় সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেয়া হয় ভুট্টা চাষিদের। এ ছাড়াও উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রণোদনা হিসাবে বীজ ও সার দেয়া হয় বলে জানান তিনি।