উপকারী এক পদার্থের নাম কর্পূর। গৃহস্থালি নানা কাজ থেকে শুরু করে অনেক রোগের প্রতিষেধক এটি। গলা ব্যথা, সর্দি, আঘাতের উপশম, পিঁপড়া এবং ছারপোকা নাশক সহ নানাবিদ কাজে লাগে কর্পূর।
বাংলাদেশে সাধারণত দুই ধরণের কর্পূর পাওয়া যায়। গুল্ম থেকে একটি এবং কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয় আরেকটি। একসময় বাড়িতে বাড়িতে গ্রীষ্মকালে পানিতে কর্পূর মিশিয়ে রাখা হত। কর্পূর পানি ঠাণ্ডা রাখে এবং পানির স্বাদগন্ধেও পরিবর্তন আনে। এছাড়া কর্পূর বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ম্যাজিকের মতো কাজ করে। চলুন জেনে নেই কর্পূরের বিভিন্ন উপকারিতা।
১. আঘাত পাওয়া জায়গায় কর্পূর মালিশ করলে খুব দ্রুত উপকার পাওয়া যায়। এতে ব্যথা দ্রুত উপশম হয়।
২. স্পর্শকাতর ত্বকে প্রায়ই চুলকানি ও র্যাশের সমস্যায় দেখা দেয়। এক্ষেত্রেও কর্পূর অনেক উপকারী। এক টুকরা ভোজ্য কর্পূর সামান্য পানির সঙ্গে মিশিয়ে আক্রান্ত স্থান ধুয়ে নিলে চুলকানি সেরে যায়। এছাড়া কর্পূরের তেলও এই ক্ষেত্রে বেশ উপকারি।
৩. নখে ছত্রাকজনিত সংক্রমণেও কর্পূর কার্যকরী। ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি কর্পূর মালিশ করলে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।
৪. একজিমায় ভুগলে তীব্র প্রদাহ ও যন্ত্রণা হয়। একজিমার অয়েনমেন্ট ও লোশনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কর্পূর। তাই ঘরোয়া ভাবে লোশন তৈরী করে ব্যবহার করলেও উপকার পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: নতুন বছরে নতুন করে সাজান নিজেকে
৫. পিঁপড়ার উপদ্রব কমাতে কর্পূর অত্যন্ত কার্যকরী। কোন প্রকার ক্ষতিকর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া ছাড়াই কর্পূর পিঁপড়ার উপদ্রব কমিয়ে দেয়। পানির সঙ্গে কর্পূর মিশিয়ে ঘরের কোণায় কোণায় ছড়িয়ে দিলে পিঁপড়ার দল ঘর ছেড়ে পালায়।
৬. ছারপোকা তাড়াতেও কর্পূর বেশ কার্যকরী। ছারপোকা থেকে মুক্তি পেতে বিছানার চাদর ধুয়ে তোষক ও জাজিম রোদে দিয়ে একটি বড় কর্পূরের টুকরো কাপড়ে মুড়ে বিছানা ও জাজিমের মাঝামাঝি রেখে দিলে ছারপোকা মরে যায়।
৭. কর্পূরের গন্ধ ঘুমের ক্ষেত্রে সাহায্য করে। অনিদ্রা বা ইনসমনিয়ার থাকলেও বালিশে কয়েক ফোঁটা কর্পূরের তেল দিলে ঘুম চলে আসে।
৮. কর্পূরের তেল সর্দি এবং গলা ব্যথা সারাতে কার্যকরী। ঘরোয়া ভাবে বুকে, পিঠে ও গলায় কর্পূরের তেল মালিশ করলে তাৎক্ষণিক ভাবে আরাম পাওয়া যায়।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস