কলকাতার থিয়ে এপেক্স মিলনায়তনে বিভাবন থিয়েটার একাডেমির আমন্ত্রণে ন্যাশনাল ইন্টিমেট থিয়েটার ফেস্টিভ্যাল এর শেষ দিনে প্রদর্শিত হলো নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের নাটক ‘সাইক্লোসিস’। নাটকটির রচনা ও নির্দেশনায় ছিলেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হীরক মুশফিক। ১১ থেকে ১৪ অক্টোবর ২০২২ অনুষ্ঠিত নাট্যোৎসবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী একমাত্র অন্তরঙ্গ নাটক সাইক্লোসিস প্রশংসা কুড়িয়েছে দর্শকদের।
আত্মহত্যা প্রতিরোধে নির্মিত নাটকটির প্রদর্শনী শেষে ভারতের জনপ্রিয় নাট্য পত্রিকা ভাবনা থিয়েটারের সম্পাদক, বিশিষ্ট নাট্য সমালোচক ও অভিনেতা অভিক ভট্টাচার্য বলেন “বাংলাদেশের এই কাজটিতে ভীষণ রকমের ট্রাস্ট রয়েছে এবং এর টেক্সটকে যেভাবে ভাঙা হয়েছে বারবার অভিনয়ের মধ্য দিয়ে এবং আমরা যারা দর্শক আসনে বসে ছিলাম প্রতি মুহূর্তে আমাদেরকে এক ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। যার পুরোটায় একধরনের মনস্তাত্বিক খেলা। থিয়েটারের জায়গা থেকে এটা একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে মনে হয়েছে।”
রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক বিভাগের প্রধান শান্তনু দাস বলেন “এমন একটি নাটক দেখার পর দর্শককে কিছুক্ষণ ভাবনায় থাকতে হয়। এর কন্টেন্ট চমৎকার। বাংলাদেশের নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের এরকম ভালো ভালো নাটক দেখার প্রত্যাশা রইলো”
আয়োজক সুপ্রিয় সমাজদার জানান, “জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক সাইক্লোসিস খুব ভালো লেগেছে। বিভাবনের মাধ্যমে যে নতুন সম্পর্কটি তৈরি হয়েছে দুদেশের নাটকের সেটি আরো শক্ত হতে পারে বলে মনে করি। “
দর্শককে সরাসরি সম্পৃক্ত করতে অন্তরঙ্গ নাট্য আঙ্গিকে নির্মাণ করা হয়েছে নাটক। অভিনেতা ও দর্শকের সংযোগ তৈরির মাধ্যমে নাট্যঘটনাকে সাধারণ ভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছে নির্মাণ প্রক্রিয়ায়। আত্মহনন প্রতিরোধে ‘সাইক্লোসিস’ নাটকটি সামান্য হলেও ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন এই নাটকের কলাকুশলীবৃন্দ।
প্রদর্শনী সম্পর্কে নাট্যকার ও নির্দেশক হীরক মুশফিক জানান, প্রদর্শনী কেমন হয়েছে সেটা দর্শক বলতে পারবেন। নাটক দেখার পর দর্শকের কাছ থেকে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক নিয়ে যে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছি নিজের দেশের, বিশ্ববিদ্যালয়ের ও আমার বিভাগের জন্য গর্ব হচ্ছিলো। এমন একটি ভিন্নধর্মী উৎসবে অংশগ্রহণ আমাদের জন্য একেবারে আনকোরা অভিজ্ঞতা। এদেশের বেশ কিছু নাটক দেখেছি৷ নাটক নিয়ে নতুন করে ভাববার, নতুন উদ্যমে কাজ করার দায় বেড়েছে। “
নাটকটিতে অভিনয় করেছেন হুমায়রা কচি, হুমায়ুন কবীর, কুশ সাহা, ফারহান। মিউজিক করেছেন রিয়াদ হাসান ডিজাইনে ছিলেন নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগের শিক্ষক মেহেদী তানজীর।
প্রযোজনাটির সাফল্যে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর।
আনন্দবাজার/শহক