নেপাল ও বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। ব্যবসাীদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি, ব্যবসায়িক সুবিধা সৃষ্টি এবং সফর বিনিময়ের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের এ্যাম্বাসেডর ঘানশেয়াম ভান্ডারির সাথে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রতি বছর নেপালে বেড়ানে যান। নেপালে হাইড্রোলিক পাওয়ার প্লাট এ উৎপাদিত প্রায় পাঁচশত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ক্রয়ের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। দেশটির বাজারে বাংলাদেশের তৈরী পোশাক, খাদ্য পণ্য, পেপার এবং পেপার বন্ড, পাটজাত পণ্য, ঔষধ, প্লাসটিক পণ্য,ইলেট্রনিক পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হচ্ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, নেপালের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। উভয় দেশের বাণিজ্য এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কম হলেও এ বাণিজ্য বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। বিগত ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে বাংলাদেশ ৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য নেপালে রপ্তানি করেছে, একই সময়ে ৪.৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে। উভয় দেশ উদ্যোগ গ্রহণ করলে বাণিজ্য বৃদ্ধি করা সম্ভব। নেপালের সাথে বাংলাদেশের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের ফলে যোগাযোগ ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।
ঘানশেয়াম ভান্ডারি বলেন, বাংলাদেশের সাথে নেপালের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। উভয় দেশের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ চালুর ফলে এতে নতুনমাত্রা যুক্ত হবে। মংলা, বাংলাবান্ধা ও বেনাপোল বন্দর ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ ও লাভজনক করবে। পাওয়া যাবে পদ্মা সেতুর সুফল। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নেপালের সক্ষমতা খুবই কম, পণ্যের শুল্কায়ন সহজ হলে বাণিজ্য বাড়বে। এছাড়া বাংলাদেশ-নেপাল চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি গঠন করে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের আগ্রহী করে তোলা সম্ভব।
বাণিজ্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রিফারেন্সিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরের প্রস্তাব দিয়েছে। নেপাল এ বিষয়ে কাজ করছে। আশা করা যায়, আগামী দিনগুলোতে উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বাড়বে।
আনন্দবাজার/কআ