সফল অভিনেতা, নির্মাতা, লেখক ও মঞ্চে সরব উপস্থিতি বহুগুণের অধিকারী সেই মানুষ আজ আড়ালে। কেউ মনেও রাখেনি তাকে। তিনি আর কেউ নন অভিনেতা আব্দুল আজিজ।
আব্দুল আজিজ জানান, সৌরভ আউয়াল পরিচালিত ‘অপরিচিত’ সিনেমার মাধ্যমে রূপালি পর্দায় ১৯৬৭ সালে অভিষেক হয় তার। ছোট একটি চরিত্র। ১৯৭৫ সাল থেকে সিনেমায় নিয়মিত হন প্রয়াত চাষী নজরুল ইসলামের হাত ধরে। তারপর সোনা বউ, হাজার বছর ধরে, আরশি নগর, রুপ নগর, মাটির কসম, দিপু নাম্বার টু, রাবেয়াসহ ১০০টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। বেশির ভাগ সিনেমাতে মন্দ মানুষ হিসেবেই হাজির হতেন।
১৯৭৫ সাল থেকে টেলিভিশনেও নিয়মিত কাজ শুরু করেন। বিটিভির শিশুদের হাসির সিরিয়াল জুই জোনাকী, হিরামনসহ অনেক নাটকে কাজ করেছেন।‘ইত্যাদি’রও নিয়মিত একজন শিল্পী তিনি। ইত্যাদি’র প্রথম পর্ব প্রচার হয় ১৯৮৯ সালে। সেই সময় থেকেই তিনি আছেন এখনো। এযাবৎ টেলিভিশনে সব মিলিয়ে ৬ শতাধিক নাটকে অভিনয় করেছেন। এর বাইরে একেবারেই অনিয়মিত। বলা চলে দেখাই যায় না তাকে।
অভিনেতা আজিজ বলেন, আসলে আমি অভিনয় কমিয়ে দিয়েছি ব্যাপারটি তা নয়। হয়তো এখন যারা প্রযোজক ও পরিচালক তারা প্রয়োজন মনে করেন না আমাকে। হয়তো আমি অযোগ্য, তাই তারা অভিনয়ে ডাকে না।
এখন তো পারিবারিক গল্পের নাটক অনেক কম। সেটা তো দেখি আমরা। এখন তো বেশিরভাগ নাটকই শুধু নায়ক-নায়িকা আর তার দুই একজন চ্যালা ফ্যালা নিয়ে হয়ে যাচ্ছে। কাজ করবো বা কাজের সুযোগ পাবো সেই চরিত্রই তো নেই। সিস্টেমটাই আসলে পাল্টে গেছে।
বর্তমান সময়ে নাটকে বাজেট কম উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রযোজক অতো বড়সড়ো কোনো আয়োজন করে নাটক বানাতে চান না। শর্টকাটে শেষ করেন। সেজন্যই আমার মতো শিল্পীদের সুযোগ কমে গেছে বা বলা যায় শেষ হয়ে গেছে। ওই সিস্টেম শর্ট করতে গিয়ে গল্প, আয়োজন ও চরিত্র কাট হয়ে গেছে আর কী।
একইসঙ্গে দর্শকের চাহিদাও কিন্তু কেটে ফেলা হয়েছে। যেভাবে আগে দেখতাম পারিবারিক গল্প হতো এবং বিশেষ যে চরিত্রগুলো খালা, খালু, মামা, মামী, চাচা, চাচী ইত্যাদি চরিত্র থাকতো। দর্শক সবগুলো চরিত্রই পছন্দ করতেন। কিন্তু এখন এসবের কিচ্ছু নেই।
আনন্দবাজার/কআ