মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ পরিদর্শন করেছেন চরফ্যাশনের ইউএনও
চরফ্যাশনের হালিমাবাদ গ্রামে কৃষক আকতার মহাজন মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে বারোমাসি ফল কানিয়া জাতের তরমুজ চাষে সাড়া ফেলেছে গোটা উপজেলায়। প্রতি মৌসুমে বিভিন্ন জাতের সবজি ও ফলমূল চাষাবাদে এসেছে তার সফলতা।তবে দেশের অন্যান্য জায়গার মতো এখানেও নতুন জাতের তরমুজের চাহিদা থাকায় প্রথমবারের মতো তার খামারে মালচিং পদ্ধতিতে বারোমাসি তরমুজ চাষ শুরু করেছে তিনি। সবুজ, কালো ও হলুদ রঙের এই তিন জাতের তরমুজগুলো দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি খেতেও সুস্বাদু। গতকাল সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল নোমানসহ কৃষিকর্মকর্তারা ওই তরমুজ ক্ষেত পরিদর্শনে যান। এবং কৃষক আকতার হোসেন তরমুজ চাষে সফলতা মুগ্ধ হন। এবং কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আস্বাস দেন।
জানাযায়, কৃষি উদ্যোক্তা আকতার হোসেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ইউনাইটেড নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চ ফলন শীল বারোমাসি তরমুজের বীজ সংগ্রহ করেছেন। এরপর তিনি প্রাথমিকভাবে প্রদর্শনী এসএসিপি প্রকল্পের আওতায় হাইব্রিড জাতের এই তরমুজের চাষ শুরু করেন।
চাষি আকতার হোসেন মহাজন জানান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে মালচিং পদ্ধতিতে জৈষ্ঠ্যে মাসের মাঝামাঝি ৮ শতক জমিতে ১২০ টি ট্রেতে ৩৫০ টি তরমুজের চারা রোপন করি। রোপনের ৬০ থেকে ৬৫ দিনের মধ্যেই গাছের তরমুজ বিক্রয়ের উপযোগী হয়। প্রতিটি তরমুজের ওজন হয়েছে ২ থেকে ৩ কেজি। সফলতা দেখে এই জাতের বারোমাসি তরমুজ দিগুন জমিতে চাষাবাদ করবেন বলে জানান কৃষক আকতার হোসেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওমর ফারুক বলেন, মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষাবাদে অল্প খরচে, কম সময়ে, ভালো ফলন ও অধিক মূল্য পাওয়া যায়।এমন আগ্রহী চাষীদেরকে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন।
